ভারতের দাবিকে ‘হাস্যকর’ বলে প্রত্যাখ্যান পাকিস্তানের
প্রকাশিত : ১০:৪৬, ১০ আগস্ট ২০২৫

অপারেশন সিঁদুরের তিন মাস পরে এসে ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধান দাবি করেছেন তারা অভিযানের সময় ৫টি যুদ্ধবিমানসহ পাকিস্তানের ৬টি বিমান ভূপাতিত করেছেন। এমন দাবিকে মিথ্যা ও হাস্যকর বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।
শনিবার (৯ আগস্ট) নিজের সরকারি এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে দেয়া পোস্টে ভারতীয় সামরিক নেতৃত্বকে সমালোচনা করেন তিনি।
খাজা আসিফ বলেন, তিন মাস আগে সংঘর্ষ শেষ হওয়ার পর হঠাৎ এমন দাবি যেমন অবিশ্বাস্য, তেমনি অসময়ের। ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধানের দাবিকে ‘মিথ্যা, হাস্যকর ও সত্য থেকে বহু দূর’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
পাকিস্তানের একটি বিমানও ভূপাতিত হয়নি বা ধ্বংস হয়নি বরং রাফায়েলসহ ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান পাকিস্তান ভূপাতিত করেছে বলেও জানান তিনি।
খাজা আসিফ বলেন, এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও মানববিহীন বিমান ধ্বংস করেছে এবং অকেজো করেছে কয়েকটি ভারতীয় বিমানঘাঁটি।
তিনি দাবি করেন, যুদ্ধ জেতা হয় পেশাদারিত্ব দিয়ে, মনগড়া গল্প দিয়ে নয়। সত্য নিয়ে প্রশ্ন থাকলে দুই দেশেরই বিমানের তালিকাগুলো স্বাধীন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য উন্মুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদিও পাকিস্তান সংঘাতের পরপরই, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছে ভারতের ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেছিল। স্বাধীন পর্যবেক্ষক, বিশ্ব নেতা, ঊর্ধ্বতন ভারতীয় রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে গোয়েন্দারাও রাফালসহ একাধিক ভারতীয় বিমানের ক্ষতির ব্যাপক স্বীকৃতি দিয়েছেন।’
এর আগে শনিবার ভারতের বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং দাবি করেন, মে মাসের সংঘর্ষে ভারত পাকিস্তানের পাঁচটি ফাইটার জেট এবং আরেকটি সামরিক বিমান ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তানের বিমান ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে এটিই ভারতের প্রথম দাবি। পাকিস্তানের বেশিরভাগ বিমান ভারতের এস-৪০০ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম দিয়ে ধ্বংস করা হয় বলেও জানান তিনি।
চলতি বছরের ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। ভারত অভিযোগ করে, পাকিস্তান সন্ত্রাসী হামলা চালাতে সহায়তা করেছে। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ নাকচ করে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানায়।
এ নিয়ে উত্তেজনার এক পর্যায়ে গত ৬ মে দিবাগত মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আকস্মিক বিমান হামলা চালায় ভারত। যার নাম দেয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতের দাবি, জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
ভারতের হামলার পর ‘অপারেশস বুনিয়ানুন মারসুস’ নামে পাল্টা হামলা শুরু করে পাকিস্তানি বাহিনী। এতে উভয় পক্ষই যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এবং সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়। টানা কয়েকদিনের সংঘাতের পর ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত-পাকিস্তান।
এএইচ
আরও পড়ুন