ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ভারতের দ্বিতীয় দফা ভোটে আরও ৫৩ কোম্পানি বাহিনী

প্রকাশিত : ১১:৫৬, ১৩ এপ্রিল ২০১৯

ভারতের প্রথম দফার ভোটে রাজ্যে ছিল ৮৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। দ্বিতীয় দফার ভোটে আসছে আরও ৫৩ কোম্পানি। আগামী ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের ভোটে সব মিলিয়ে ১৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। খবর দিয়েছে কলকাতার বর্তমান পত্রিকা।

এছাড়াও এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় থাকবে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের স্ট্রং রুম পাহারার জন্য। আরও এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কোচবিহার এলাকায়। সেখানে ভোট মিটে গেলেও উত্তেজনা থাকায় নজরদারিতে কাজে লাগানো হবে ওই বাহিনী।

এদিকে, প্রথম দফার ভোটে পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে সব বুথের স্ক্রুটিনি করা হয়। সেখানে আলিপুরদুয়ারের কোনও বুথে পুনর্নির্বাচন করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কোচবিহারে একটি বুথে ফের ভোট নেওয়া হবে।

সেটি হল শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৮১ নং বুথে। কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের তরফে একথা জানানো হয়েছে। তবে কবে এই ভোট হবে তা ঠিক করবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।

প্রথম দফার ভোটে ৫১ শতাংশের কিছু বেশি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল। বাকি বুথে ছিল রাজ্য সশস্ত্র পুলিস। সেই সব বুথের নিরাপত্তা নিয়ে বিরোধীদের তীব্র আপত্তি রয়েছে।

সেখানে অবাধ ভোট হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ কলকাতা থেকে দিল্লি—সর্বত্র কমিশনের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তাই দ্বিতীয় দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

দ্বিতীয় দফায় বুথের সংখ্যাও প্রথম দফার তুলনায় অনেক বেশি। প্রথম দফায় ছিল ৩ হাজার ৮৪৪টি, সেখানে দ্বিতীয় দফায় বুথ রয়েছে ৫ হাজার ৩৯০টি। ঠিক হয়েছে, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের জন্য ১৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।

এর মধ্যে ৬৭ কোম্পানি বিএসএফ, ৩১ কোম্পানি সিআরপিএফ, ১১ কোম্পানি এসএসবি, ১০ কোম্পানি মেঘালয় সশস্ত্র পুলিস, ৮ কোম্পানি সিকিম সশস্ত্র পুলিস, ৫ কোম্পানি নাগাল্যান্ড সশস্ত্র পুলিস এবং ২ কোম্পানি ত্রিপুরা সশস্ত্র পুলিস রয়েছে। ওই চারটি রাজ্যের সশস্ত্র পুলিস ফোর্সকে কেন্দ্রীয় বাহিনী বলেই চিহ্নিত করা হয়।

এই তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের প্রস্তুতি নিয়ে শুক্রবার দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সে পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। দু’-একদিনের মধ্যেই ওই কেন্দ্রগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসবে। সেখানে টহলদারি শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার প্রথম দফার ভোটে যে দু’জন প্রিসাইডিং অফিসারকে শো-কজ করা হয়েছে, তারা ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত সিইও সঞ্জয় বসু। তিনি বলেন, প্রথম দফার ভোটের হার ৮৩.৭৯ শতাংশ। কোচবিহারে ৮৩.৮৮ শতাংশ এবং আলিপুরদুয়ারে ৮৩.৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

উল্লেখ্য, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনে ভোটদানের হার ছিল যথাক্রমে ৮২.৫০ শতাংশ, ৮২.৮৯ শতাংশ এবং ৭৮.৩৯ শতাংশ। ফলে ৮৩ শতাংশ ভোট এ রাজ্যে স্বাভাবিক ব্যাপার বলে মনে করছে অভিজ্ঞমহল।

শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার কেন্দ্রের ভোট নিয়ে স্ক্রুটিনি হয়। সেখানে প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়েরি, মাইক্রো অবজারভারের নোট খতিয়ে দেখা হয়। দুটি লোকসভা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষকের উপস্থিতিতেই তা করা হয়।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে কোনও বুথে পুনরায় নির্বাচন করার প্রয়োজন নেই। তবে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৮১ নং বুথে পুনরায় নির্বাচন হবে, কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর সূত্রেই একথা জানা গিয়েছে। সেই বুথে ইভিএমে মক-পোলকে বিপত্তি ঘটায় দেড় ঘণ্টা ভোট বন্ধ ছিল।

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি