ঢাকা, বুধবার   ০৯ জুলাই ২০২৫

অরিত্রির আত্মহত্যা:

ভিকারুননিসা নূন স্কুলের অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৮, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১২:০২, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

বাবার অপমান সইতে না পেরে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের আত্মহত্যার ঘটনায় স্কুলের সামনে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বেইলী রোডে ওই স্কুলের গেটের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ সময় তারা দোষী শিক্ষক ও স্কুলটির অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করেন। বিক্ষোভ থেকে পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা।

স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নাজনীন ফেরদৌস বলেন, স্কুলের আজকের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়নি। শিক্ষার্থীরা চাইলে পরীক্ষা দিতে পারে। না দিলে পরীক্ষাটি পরে নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্কুলটির সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, তাদের সঙ্গে সবসময়েই এ ধরণের বাজে আচরণ করে যাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অরিত্রির মৃত্যুর ঘটনায় যা সামনে এসেছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির কাছে অভিযোগ করার পরও কোনো সমাধান মেলেনি।

অরিত্রির বাবা সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী দিলীপ অধিকারী বলেন, রোববার পরীক্ষার হলে অরিত্রি মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ায় তাকে ও তার স্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হয়। তারা সোমবার গিয়ে মেয়ের হয়ে ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে ক্ষমা চান। কিন্তু তিনি `কিছু করার নেই` জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের কাছে যেতে বলেন। এরপর তারা প্রিন্সিপালের কাছে গিয়েও ক্ষমা চান। একপর্যায়ে অরিত্রি তার পা ধরে ক্ষমা চায়। তাতেও কাজ হয়নি। প্রিন্সিপাল তাদের অপমানজনক কথাবার্তা বলে তার কক্ষ থেকে বের করে দেন।

তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনার পর অরিত্রি প্রিন্সিপালের রুম থেকে দৌড়ে বের হয়ে যায়। তারাও তার পিছু নেন। স্কুল থেকে বের হয়ে মেয়ে একাই একটি রিকশায় তাদের শান্তিনগরের বাসায় চলে আসে। পরে তারা ফিরে দেখেন, নিজের ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছে অরিত্রির নিথর দেহ।

দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

টিআর/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি