সড়কে দৌরাত্ম্য
ভোগান্তিতে দেশের মানুষ
প্রকাশিত : ০৮:১১, ২৯ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১১:৪৪, ২৯ অক্টোবর ২০১৮

সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে অচল পুরো দেশ। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, মানুষ একপ্রকার কর্মহীন হয়ে পড়ছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অফিস কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন।
সড়কে যানবাহন নেই, বিকল্প বাহনে অতিরিক্ত ভাড়া, দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটেও চলার উপায় নেই। দেশের সব শ্রেণী ও পেশার মানুষ দুই দিনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে কর্মজীবী মানুষের যাত্রাবিরতি যে কতটা ভোগান্তিতে ফেলছে, তা ভুক্তভোগী ছাড়া আর কেউ বুঝবে না।
রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা ইমানুল হক। তিনি জানান, ‘আমি এদের সড়ক সন্ত্রাসী বলবো। তাদের দৌরাত্ম্য এতো বেশি বেড়েছে যে যখন যা ইচ্ছে তাই করছে। সরকার যে আইন করেছে তা জনগণের পক্ষে নয়, এটা তাদেরই পক্ষে গেছে। উল্টো তারাই এখন জনগণকে জিম্মি করছে।’
বাংলামটর মোড়ে অফিসগামী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘এভাবে আর কত দিন চলবে। আমরা সাধারণ মানুষ। অফিসে ঠিক সময় না যেতে পারলে বসের বকা খেতে হবে। ভিন্ন কোন পরিবহনে যাওয়ার উপায় নেই। অনেক ভাড়া হাকাচ্ছে তারা।’
রাজধানীসহ সারা দেশের অসংখ্য মানুষ এভাবেই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
এদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘শ্রমিকরা সড়ক পরিবহন আইন না বুঝেই কর্মবিরতি পালন করছেন।’
তিনি কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে সড়ক পরিবহন আইন পরিবর্তন (সংশোধন) করে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব না।’
পরিবহন নেতারা জানিয়েছেন, মন্ত্রীরা কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানালেও তাদের আলোচনায় ডাকেননি। তাই পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সোমবারও কর্মবিরতি পালন করা হবে।
ফেডারেশনের সহসভাপতি সাদিকুর রহমান হিরু জানিয়েছেন, সোমবার কর্মবিরতি পালনের পর বিকেলে তারা বৈঠকে বসবেন। ঠিক করবেন পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে। তিনি আভাস দেন, মঙ্গলবার থেকে নমনীয় কর্মসূচি দেওয়া হবে।
তিনি জানান, তারাও বুঝতে পারছেন সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। তাই বিক্ষোভ মিছিল বা সমাবেশের মতো কর্মসূচি দেওয়া হবে। সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে ফেডারেশন।
এসএ/
আরও পড়ুন