মা তুলে গালমন্দ করায় চালককে পিটিয়ে হত্যা করল হেলপার

মা তুলে গালমন্দ করায় কুমিল্লায় কার্ভাডভ্যানচালক আলাউদ্দিনকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে হেলপার রাশেদুল ইসলাম রাশেদ (২৪)। 

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ঘাতককে গ্রেফতার পরবর্তী পুলিশের সংবাদ সম্মেলন শেষে গণমাধ্যমের কাছে এ কথা জানায় রাশেদ। 

গত ২৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজারে এ হত্যকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

হত্যার ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে বুড়িচং থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জয়নাল হাওলাদারের ছেলে ঘাতক রাশেদকে তার বাড়ি শরিয়তপুর জেলার ডামুড্যার থানাধীন দশমনতারা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। 

গতকাল রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমসার বাজারে থামানো একটি কাভার্ডভ্যান থেকে চালকের পিছনের সিটে কম্বলে মোড়ানো একটি লাশ উদ্ধার করি। পরে পুলিশ সুপার মো. সৈয়দ নুরুল ইসলামের সার্বিক দিক নির্দেশনায় দুটি টিম গঠন করে নিরবিচ্ছিন্ন অভিযান চালানো হয়।

এতে আমরা জানতে পারি, লাশটি ওই কাভার্ডভ্যান চালক আলাউদ্দিনের। নিহত আলাউদ্দিন লক্ষীপুর জেলার কমলনগর থানার চর কাদিরা গ্রামের নসু মিয়ার ছেলে। 

পরে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র ও পরিদর্শক সাফায়েত হোসেনকে (তদন্ত) নিয়ে প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা টিমের সহযোগিতায় বুড়িচং থানার উপ-পরিদর্শক নন্দন চন্দ্র সরকার অভিযান চালিয়ে ঘাতক রাশেদকে আটক করে। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাশেদ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। তবে হত্যার কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ। 

সংবাদ সম্মেলন শেষে ঘাতক রাশেদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে সে জানায়, ‘চালক আলাউদ্দিন কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তার মা’কে নিয়ে গালমন্দ করে। সহ্য করতে না পেরে সে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে চালক আলাউদ্দিনকে হত্যা করে কম্বল মুড়িয়ে লাশ কাভার্ডভ্যানে রেখে পালিয়ে যায়।’

এদিকে সংবাদ সম্মেলনের পর ঘাতক রাশেদকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ খুনের সাথে আর কারো কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা এ বিষয়ে পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন জানান।

এআই/