ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪

মাছে ভেজাল না দিতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪৭, ১৯ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৮:৪৫, ১৯ জুলাই ২০১৭

সামান্য মুনাফার লোভে মাছে ভেজাল না দিতে মৎস্য ব্যবসায়ী, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে তিনি দেশের মৎস্যসম্পদের বিপুল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষের একটু ভেজাল দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। এই ভেজাল দিয়ে বেশি মুনাফা করতে গিয়ে একেবারে নিজের ব্যবসারও সর্বনাশ। দেশেরও সর্বনাশ। এই সর্বনাশের পথে যেন কেউ না যায়। বিশেষ করে আমাদের মৎস্য ব্যবসায়ীরা।’

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৭ উদ্‌যাপন উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

মৎস রপ্তানির ক্ষেত্রে সততা বজায় রাখার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ ব্যাপারে তিনি মৎস ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কোনো রকম অভিযোগ যেন আমাদের বিরুদ্ধে না আসে। মাছ চাষ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের আমি অনুরোধ করব, সামান্য একটু মুনাফার লোভে নিজের ব্যবসাটাও যেমন নষ্ট করবেন না, তেমনি দেশের রপ্তানি বা পণ্যটাও আপনারা নষ্ট করবেন না।’

দেশে বর্তমানে মাছের চাহিদা বাড়ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। আগে একজন রিকশাওয়ালা যেখানে শুধু চাল কিনতে সক্ষম ছিলেন, তিনি এখন একটু মাছও সঙ্গে কিনতে পারেন। একজন দিনমজুরের সক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জন্য চাহিদাও বাড়বে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যত বাড়বে, আমাদের বাজারও ততটা বৃদ্ধি পেতে থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেখলাম, চিংড়ি রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ থেকে চিংড়ি নেবে না। কেননা, চিংড়ি মাছের মধ্যে লোহা ঢুকিয়ে দিয়ে ওজন বাড়িয়ে সেটা রপ্তানি করা হয়। এটা যখনই ধরা পড়ে, সঙ্গে সঙ্গেই চিংড়ি রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।’

 ‘আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বলে মৎস্য খাতের উন্নয়নের জন্য সেই সময় ৪০ কোটি টাকা এবং একটি কমিটি করে দিই। সেই টাকা দিয়ে প্রতিটি হ্যাচারি উন্নত করা হয়। ধীরে ধীরে মানসম্পন্ন রপ্তানির মধ্য দিয়ে আবার মৎস্য রপ্তানি সচল হয়।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহমুদুল হাসান খান বক্তব্য দেন।

১৮ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত এবারের মৎস্য সপ্তাহ উদ্‌যাপিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘মাছ চাষে গড়ব দেশ, বদলে দেব বাংলাদেশ’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ দেশের ১ কোটি ৮২ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা মৎস্যসম্পদের সঙ্গে সম্পর্কিত। জিডিপিতে মৎস্যসম্পদের অবদান প্রায় ৪ শতাংশ। প্রাণিজ আমিষের ৬০ ভাগ জোগান দেয় মৎস্য খাত।

 

অনুষ্ঠানে ১৩ জন মৎস্যচাষি এবং প্রতিষ্ঠানকে মৎস্য খাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বর্ণ ও রৌপ্যপদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।

ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি