ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দ্য গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণ

মালদ্বীপে শান্তি ফেরাতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রয়োজন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:২৮, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২১:২৯, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক স্বৈরশাসক মামুন আবদুল গাইয়ুমের শাসনামলে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতিরাই মালদ্বীপের সাম্প্রতিক সব সংকটের মূল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ছাড়া মালদ্বীপে কখনই শান্তি আসবে না।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা সেখানকার আসল সংকট নয়। সেখানকার আসল সংকট হল দেশটির বিচার বিভাগে সরকারি হস্তক্ষেপ। দেশটিতে গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু সরকার ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে হলে এর সংস্কার ও স্বাধীনতা ছাড়া বিকল্প সমাধান নেই। আর এই পথেই শান্তি ফিরবে মালদ্বীপের।

২০১০ সালে নতুন সরকারের আমলে গৃহীত নতুন সংবিধানে আজীবনের জন্য নিয়োগ  পাওয়া ২০০ বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটদের ৫০ ভাগই বিচারক শিক্ষা সূচকের ৭ম গ্রেডেরও কম শিক্ষাগত যোগ্যতার। তাদের এক-চতুর্থাংশের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, অর্থ আত্মসাৎ ও সহিংসতার মতো অপরাধের রেকর্ডও রয়েছে।

গত সোমবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের ১৫ দিনের জরুরি অবস্থার ঘোষণা সেই অস্থিশীলতার আনকোরা দৃষ্টান্ত। দেশটির এ অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির শুরু প্রধানত ৩০ বছর ধরে মালদ্বীপ শাসন করা স্বৈরশাসক মামুন আবদুল গাইয়ুমের পতনের পর।

২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত একটি অবাধ ও মুক্ত গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সেই সময়ের রাজনৈতিক বন্দি প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ নাশিদ মামুনকে পরাজিত করে দেশের বিভিন্ন সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডে হাত দেন। কিন্তু তার এই সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ড থমকে যায় বিচারবিভাগের হস্তক্ষেপে। দেশটির এ বিচারবিভাগ এখনও সাবেক স্বৈরশাসক মামুনের প্রতি অনেকটাই অনুগত।

নাশিদের বিরুদ্ধে ইসলাম-বিদ্বেষ এবং বিচারবিভাগের কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলে বিরোধীদের এক অভ্যুত্থানে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তার ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ওয়াহিদ হাসান। ২০১৩ সালের নির্বাচনে নাশিদ বেশি ভোট পেলেও সরকারের নির্দেশে নির্বাচনের ফল বারবার পাল্টে দেয় সুপ্রিমকোর্ট। শেষে মামুনের সৎভাই আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে অবৈধভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আর গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয় নাশিদকে। এরপর থেকেই চলছে প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের স্বৈরশাসন।  সম্প্রতি আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ইয়ামিনের দুর্নীতি, সরকারি সম্পত্তি লুট ও বিদেশে অর্থ পাচারের গোপন তথ্য।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

একে/টিকে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি