ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

মায়ের মরদেহ সাইকেলে নিয়ে কবর দিতে গেলেন ছেলে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৯, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ১০:২০, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯

অনেক ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছিলেন সুরজ। তার পর থেকে মাকে ঘিরেই তার পৃথিবী। মা জানকীর হঠাৎ মৃত্যুতে তাই সুরজের পৃথিবী এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। এত বড় ধাক্কা সামলাতে সময় লেগেছিল তার। বাস্তব মেনে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়েছিলেন বাড়ি থেকে।

কৃষক সুরজের হাতে টাকা ছিল না। মায়ের শেষকৃত্যের জন্য টাকাটুকুও ছিল না কৃষক ছেলের হাতে। তাই হাত পেতেছিলেন প্রতিবেশিদের কাছে। কিন্তু তার পাশে দাঁড়ায়নি। এ ঘটনা ভারতের ওড়িষ্যার সুন্দরগড়ের।

মা জানকী সিংহানিয়া বহু বছর ধরে সংসার চালাতেন। ছেলেকে একা হাতেই মানুষ করছিলেন তিনি। সুরজ ও জানকী, এই দুজনেই ছিল আস্ত সংসার। একদিন সকালে কুয়োয় জল তুলতে গিয়ে আচমকা পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান জানকী। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

খবরটা শুনে প্রথমে দিশেহারা হয়ে যান সুরজ। প্রতিবেশিদের কাছে সাহায্যের আশায় হাত পাতেন নাবালক সুরেজ। কিন্তু পাড়ার `নিচু` জাতের ছেলেকে এমন সময় সাহায্য করত চাননি কোনও প্রতিবেশি। বাধ্য হয়ে মায়ের মরদেহ তুলে নেন সাইকেলে। প্রায় চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরের জঙ্গলে জানকীদেবীকে এভাবেই নিয়ে যায় তার ছেলে সুরজ।

প্রতিবেশিরা হা করে দেখেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেননি। পথে অবশ্য অনেকে তাকে অনেক প্রশ্ন করেছেন। কিন্তু সাহায্য কেউ করেনি। চোখের জল মুছতে মুছতে মায়ের দেহ সাইকেলে চাপিয়ে শ্মশানের উদ্দেশে হাঁটতে থাকে সুরজ। পরে একটি জঙ্গলে গিয়ে মায়ের দেহ কবর দেয় সুরজ।

এই ওড়িষ্যায় বছর তিনেক আগে ২০১৬ সালেও ঠিক এমন ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল অ্যাম্বুলেন্স দিতে না-পারায় স্ত্রীর মাদুর জড়ানো দেহ কাঁধে নিয়ে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে যান দানা মাঝি।

 

সূত্র: জি-নিউজ, আনন্দবাজার।

টিআর/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি