ঢাকা, রবিবার   ১৩ জুলাই ২০২৫

মিন্নির ঘটনায় পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ: টিআইবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৪৫, ২৬ জুলাই ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বিষয়ে তার বাবার অভিযোগের পরে পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে দাবি করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে যোগসাজশে জোর করে বরগুনায় নিহতের স্ত্রী ও মামলার প্রধান সাক্ষী মিন্নির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে বলে মিন্নির বাবা ও তার আইনজীবীর অভিযোগে স্থানীয় পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতা গুরুতরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মনে করে টিআইবি।

পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে অপরাধীকে সুরক্ষা এবং হেফাজতে থাকাদের নির্যাতনের অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ টিআইবি’র। শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরগুনার রিফাত হত্যা, ফেনীর নুসরাত হত্যা ও কক্সবাজারের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ধর্ষণের মতো আলোচিত মামলায় পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা, বিশেষ করে হেফাজতে বিভিন্ন প্রকার নির্যাতনসহ অপরাধের শিকার ব্যক্তি যারা মামলার মূল সক্ষী তাদের ও পরিবারের সুরক্ষার পরিবর্তে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টির ধারাবাহিক অভিযোগ উঠেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘গণমাধ্যম সুত্রে প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী, আলোচিত এ অপরাধের ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মী কর্তৃক আইনের লঙ্ঘন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনৈতিক ও শুদ্ধাচার পরিপন্থী আচরণের মাধ্যমে একদিকে অপরাধী বা তাদের দোসরদের সাথে যোগসাজসমূলক সুরক্ষা ও অন্যদিকে যারা অপরাধের শিকার তাদের নিরাপত্তা বিধানের পরিবর্তে হেফাজতে বিভিন্ন প্রকার হয়রানি ও নির্যাতনের মাধ্যমে স্বাক্ষী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের যে নিরাপত্তাহীনতার চিত্র প্রকাশিত হচ্ছে তাকে বিচ্ছন্ন ঘটনা হিসেবে দেখার কোন সুযোগ নেই। 

ঢালাওভাবে অস্বীকার করার যেমন অবকাশ নেই, তেমনি ‘বিভাগীয় পদক্ষেপের’ মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার সময়ও ফুরিয়ে গেছে। সংবিধান স্বীকৃত ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন, যা গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত, যার অবস্থান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কেন্দ্রবিন্দুতে, তা ধুলিস্যাৎ হবার ঝুঁকি সৃষ্টি হবে যদি এ ধরণের অভিযোগ উপেক্ষা করা হয়, যদি এ ধরণের অপরাধের প্রতিকার না হয়।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘অন্যদিকে যারা অপরাধের শিকার তাদের নিরাপত্তা বিধানের পরিবর্তে হেফাজতে বিভিন্ন প্রকার হয়রানি ও নির্যাতনের মাধ্যমে সাক্ষী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের যে নিরাপত্তাহীনতার চিত্র প্রকাশিত হচ্ছে তাকে বিচ্ছন্ন ঘটনা হিসেবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। ঢালাওভাবে অস্বীকার করার যেমন অবকাশ নেই, তেমনি বিভাগীয় পদক্ষেপের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার সময়ও ফুরিয়ে গেছে। সংবিধান স্বীকৃত ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন, যা গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত, যার অবস্থান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কেন্দ্রবিন্দুতে, তা ধূলিস্যাৎ হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হবে যদি এ ধরনের অভিযোগ উপেক্ষা করা হয়, যদি এ ধরনের অপরাধের প্রতিকার না হয়।’

টিআইবির প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করতে চাই যে পুলিশের বিরুদ্ধে উত্থাপিত এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয়, কিন্তু পুলিশের পেশাগত উৎকর্ষের সুনাম ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, বন্তুনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য অনুসন্ধানের মাধ্যমেই তা নিশ্চিত করা সম্ভব। আর এজন্যই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব পালনকারী এ সংস্থাকে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধাচারের আলোকে ঢেলে সাজাবার লক্ষ্যে উত্থাপিত অভিযোগসমূহের বিচার বিভাগীয় তদন্ত অপরিহার্য।’

এমএস/এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি