ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৭ জুলাই ২০২৫

মিয়ানমার নতুন নতুন অজুহাত দেখাচ্ছে: রয়টার্সকে প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৩, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৩:২৩, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

রয়টার্সকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিলম্ব করতে মিয়ানমার নতুন নতুন অজুহাত দাঁড় করাচ্ছে। আর এর ফলে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাচ্ছে।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানকালে গত মঙ্গলবার রাতে সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়, যা প্রকাশিত হয় গতকাল বুধবার।

সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার দেশে এমনিতেই ১৬ কোটি মানুষ রয়েছে। আমি তাদের শিক্ষা, আবাসন, কর্মসংস্থান, চিকিৎসাসহ সব ব্যবস্থা করে থাকি। তাই আমি বাড়তি কোনও বোঝা নিতে পারব না। কারণ আমার দেশ এটি বহন করতে পারবে না। তবে শরণার্থী বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে কোনোরকম দ্বন্দ্বে জড়াতে চান না বলে জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা বিষয়ে অং সান সু চির আসলে খুব বেশি কিছু করার নেই। কারণ মিয়ানমারে সেনাবাহিনীই ‘মূল ক্ষমতার অধিকারী’। তবে সু চি চাইলে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে ইস্যুটি উত্থাপন করতে পারেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্ট মাসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। এরপর সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার সমঝোতা স্মারকে সই করে, যাতে বলা হয় দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করবে মিয়ানমার। চুক্তির পর ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি। বরং এখনও মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।

একে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি