ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫

মুম্বাইয়ে জিন্নাহর যে বাড়ি নিয়ে বিতর্ক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪৮, ২৮ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ২০:৪৫, ২৮ আগস্ট ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

পাকিস্তান ও ভারত নামক দুটি আলাদা রাষ্ট্র হয়েছে এখন থেকে সত্তর বছর আগে। দেশ বিভাগের সময় লাখ লাখ মানুষ প্রিয়জন ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিলেন সীমান্ত। সেই সময় ফেলে গিয়েছিলেন শ্রমে ঘামে আর ভালবাসায় তৈরি ঘরবাড়ি।

শুধু সাধারণ মানুষ নয়, পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহকেও রেখে যেতে হয়েছে তার প্রিয় বাড়িটি। যেটি তিনি খুব যত্ন নিয়ে তৈরি করেছিলে তার প্রিয় শহর ভারতের বোম্বেতে যা এখন মুম্বাই।

কালের পরিক্রমায় ভারত পাকিস্তান বিদ্বেষের জালে আবদ্ধ হয়েছে জিন্নাহর সেই বাড়িটি। এটি নিয়ে রীতিমত বিতর্কও হচ্ছে। বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলার জন্য দাবি তুলেছে ভারতীয়দের একটি অংশ।

ভারতের মঙ্গল প্রভাত লোধা নামের একজন রাজনীতিকের মতে, বাড়িটি পাকিস্তানের গর্বের প্রতীক হতে পারে কিন্তু ভারতের জন্য এটা ষড়যন্ত্রের একটি প্রতীক। তিনি প্রচারণা চালাচ্ছেন বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলার জন্য। তার বক্তব্য বাড়িটি ভেঙ্গে সেখানে একটি সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়ে তোলা হোক।

১৯৪৭ সালে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ভারত ছাড়েন নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র পাকিস্তানের জন্য। কিন্তু পাকিস্তানের যাওয়ার পথে তিনি একটি চমৎকার বাড়ি ফেলে যান তখনকার বোম্বেতে।

ভারত ভাগ ছিল এ অঞ্চলের মানুষের জীবন বদলে দেয়া ঘটনা। এর ফল কিংবা প্রতিক্রিয়া এখনো বয়ে চলেছে এ উপমহাদেশের মানুষ।

যখনি মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ পাকিস্তানে গেছেন, তখন থেকে তিনি ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছেন ভারতীয়দের কাছে। পাকিস্তান বিভিন্ন সময়ে বাড়িটির মালিকানা দাবি করেছে আর ভারত বাড়িটিকে শত্রু সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে।

প্রায় আড়াই একর জায়গায় বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন জিন্নাহ। সাংবাদিক সিদ্ধার্থ ভাটিয়ার মতে জিন্নাহ নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে চেয়েছিলেন বোম্বেতেই। তিনি ছিলেন একজন নামকরা আইনজীবী।

তিনি অনেক আলোচিত মামলাও জিতেছেন। আর সে কারণেই তিনি বোম্বেতে তার একটি ভিত্তি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। সে লক্ষ্যেই ১৯৩০ সালে তিনি সেখানে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন। এজন্য ওই সময়ের সেরা একজন আর্কিটেক্টকে নিয়োগ করেছিলেন তিনি।

মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ মারা গেছেন ১৯৪৮ সালে অর্থাৎ ভারত ভাগের মাধ্যমে পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার এক বছরের মধ্যেই। আর তখন থেকে খালিই রয়েছে তাঁর বাড়িটি।

আর/ডব্লিউিএন


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি