ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

লেবাননে বিষ্ফোরণ

মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৭, মজুদ খাদ্যশস্যের ৮৫ শতাংশ ধ্বংস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:১১, ৬ আগস্ট ২০২০

বৈরুত বন্দরের ভয়াবহ বিষ্ফোরণে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। বহু লোক নিখোঁজ রয়েছে এবং এ পর্যন্ত আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ৫ হাজার। 

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র বৃহস্পতিবার এ কথা জানান।

মঙ্গলবারের ওই বিষ্ফোরণে বৈরুত বন্দরের একাংশ বিলুপ্ত হয়ে গেছে, নগরীর কেন্দ্রস্থলের বিশাল ব্যাসার্ধের এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে, এতে মৃতের সংখ্যা শেষ পর্যন্ত আরো অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহতের পাশাপাশি প্রায় তিন লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছেন বলে জানিয়েছেন শহরটির গভর্নর মারওয়ান আবুদ।

বিস্ফোরণে লেবাননের মজুদ খাদ্যশস্যের ৮৫ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি আমদানি করা খাদ্যশস্যের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।

খাদ্যশস্যের এখন যা মজুদ আছে তা দিয়ে দেশটি বড় জোর আর এক মাস চলতে পারবে বলে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। 

ব্রিটিশ এ সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বুধবারও বৈরুত বন্দরের একাংশ থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। শহরটির অসংখ্য বাসিন্দা নিখোঁজ স্বজনদের সন্ধানে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে দেখা যাচ্ছে আহতদের উপচে পড়া ভিড়।  

লেবাননের সরকার জানিয়েছে, মঙ্গলবারের বিস্ফোরণ নিয়ে চলমান তদন্তের মধ্যেই বৈরুত বন্দরের দায়িত্বে থাকা বেশকিছু কর্মকর্তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।   

কীভাবে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা নিয়ে অস্পষ্টতা থাকলেও লেবানন সরকারের কর্মকর্তারা বলছেন, বন্দরের গুদামে কয়েক বছর ধরে পড়ে থাকা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের কারণেই বিস্ফোরণটি হয়েছে।

ছয় বছর আগে একটি কার্গো জাহাজ থেকে জব্দ করা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এতদিন বন্দরের গুদামে কেন পড়ে ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

লেবাননের কাস্টমস প্রধান বাদ্রি দাহের বলেছেন, তার সংস্থা গুদাম থেকে ওই রাসায়নিক পদার্থগুলো সরিয়ে ফেলার জন্য তাগাদা দিলেও ‘কাজ হয়নি’।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি