ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪

পলাতক তাজউদ্দীন ও হানিফ

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ জনের ১৭ জনই কারাগারে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১৪, ১০ অক্টোবর ২০১৮

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ আসামির মধ্যে ১৭ জনই কারাগারে। বাকি দু’জন পলালক। তারা হলেন-মাওলানা তাজউদ্দীন ও হানিফ।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ ও চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বাকি ১১ আসামির বিভিন্ন মেয়াদের দণ্ড এবং পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ঢাকার এক নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন আজ বেলা ১২টায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা আলোচিত দুই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ রায়ে আমরা খুশি। রায়ের ১২ বিবেচ্য বিষয় ছিল। বিবেচ্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এ রায় দিয়েছেন।

অন্যদিকে রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির আইনজীবীরা। রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, তারেক রহমান কোনো ভাবেই এ ঘটনায় জড়িত নন। তাঁকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। তারেক রহমান চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলে আপিল করা হবে।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, মাওলানা মো. তাজউদ্দিন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মো. আব্দুল মাজে ভাট ওরফে মো. ইউসুফ ভাট, আব্দুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে (অভি), মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহম্মেদ তামিম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে খাজা ওরফে আবু জানদাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ওরফে খালিদ সাইফুল্লাহ ওরফে শামিম ওরফে রাশেদ, মো. উজ্জল ওরফে রতন, মো. লুৎফুজ্জামান বাবর, মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রহিম, মো. আব্দুস সালাম পিন্টু ও মো. হানিফ (হানিফ পরিবহনের মালিক)।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে মাওলানা মো. তাজউদ্দিন ও মো. হানিফ পলাতক রয়েছেন। বাকিরা সবাই রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন।

এদের মধ্যে মাওলানা তাজউদ্দিন দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছেন। আর হানিফের অবস্থান এখনো সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। যদিও রায়ের তালিকায় হানিফকে আদালতে উপস্থিত দেখানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে দলীয় সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়। নারকীয় ওই হামলায় আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি আইভি রহমানসহ ২৪ নেতাকর্মী প্রাণ হারান। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। তাকে বাঁচাতে মানববর্ম তৈরি করে আওয়ামী লীগ নেতারা। শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডে স্লিন্টারে হারান এক কানের শ্রবণশক্তি।

দীর্ঘ ১৪ বছর পর এ মামলার রায় আজ ঘোষিত হলো।

এ সংক্রান্ত আরও খবর

১৯ জনের ফাঁসি, তারেকসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন

অা অা// এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি