মেঘনা নদী থেকে বালু তুলতে পারবেন না সেলিম খান
প্রকাশিত : ১৩:৩৮, ২৯ মে ২০২২

চাঁদপুরের ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেলিম খান মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে পারবেন না বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু তোলার অনুমতি দিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, রোববার (২৯ মে) তা বাতিল করে এই আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। সেলিম খানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি।
সেলিম খান চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
এর আগে বালু উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে সেলিম খানের আরেকটি আবেদন গত ২৩ মে খারিজ হয়ে যায় হাইকোর্টে।
এরপর রোববার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বালু উত্তোলনের অনুমতি বাতিলের বিষয়ে শুনানির দিন নির্ধারিত হয়।
এর আগে ২০১৫ সালে মেঘনা নদীর চাদপুর ও হাইমচর উপজেলায় অবস্থিত ২১টি মৌজায় জনস্বার্থে নিজখরচে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করতে নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন সেলিম খান। পরে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে চাঁদপুরের ২১টি মৌজায় অবস্থিত মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিতে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, গত আট বছর ধরে পদ্মা ও মেঘনা থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করে চলেছেন সেলিম খান। যার কারণে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের কয়েকটি স্থান দেবে গেছে। ভেঙে পড়ছে নদীর তীরও। জাতীয় মাছ ইলিশের প্রজননও ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
এরপর চলতি বছরের ১৫ মার্চ হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল করে, যা রোববার আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি হলো।
উল্লেখ্য, হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের মাধ্যমে নদীর তলদেশে কোথায় কত দূরত্বে মাটি রয়েছে, তা আধুনিক পদ্ধতিতে চিহ্নিত করা বা এর মানচিত্র তৈরি করা হয়। ডুবোচর কাটতে হলে প্রথমে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করতে হয়।
এমএম/
আরও পড়ুন