ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪

ধনুষকে সন্তান দাবি করে আবারো আদালতে দম্পতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৫০, ৫ মে ২০২২ | আপডেট: ১৪:৫৫, ৫ মে ২০২২

দক্ষিণি সুপারস্টার ধনুষ ও সেই দম্পতি

দক্ষিণি সুপারস্টার ধনুষ ও সেই দম্পতি

ছয় বছর আগে একটি তিক্ত মামলার সম্মুখীন হয়েছিলেন ধনুষ খ্যাত ভারতের দক্ষিণী তারকা ভেঙ্কটেশ প্রভু কস্তুরি রাজা। তবে কোনো অপরাধযুক্ত মামলা নয়, বরং এই মামলা এক বয়স্ক দম্পতির ধনুষকে সন্তান দাবি করায়।

২০১৬ সালে তামিলনাড়ুর মাদুরাই জেলার মেলুরের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ওই দম্পতি। সেই মামলায় দাবি করা হয়, তারা-ই ধনুষকে জন্ম দিয়েছেন। ধনুষ তাদের তৃতীয় সন্তান।

আর সেই মামলায় আবার মাদ্রাজ হাইকোর্ট তলব করেছেন ধনুষকে। মামলাটি নিয়ে আবারও জলঘোলা শুরু হল।

আরও কী দাবি ছিল দম্পতির?
কাথিরেসান ও মীনাক্ষী নামে ওই দম্পতির দাবি অনুযায়ী, ধনুষকে তারাই জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু একাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনাকালে ধনুষ নাকি বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন চেন্নাইতে। অভিনেতা হওয়ার শখ ছিল তার। তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি। কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বলেও অভিযোগ বৃদ্ধ দম্পতির।
 
তাদের দাবি, তাদের ‘সন্তান’ ধনুষ মাসে ৬৫ হাজার টাকা করে পাঠালে তাদের সুবিধা হয়। কারণ আর্থিক অনটনে ভুগছেন তারা।

এই দম্পতি নাকি বহুদিন ধরেই তাদের তৃতীয় সন্তানের খোঁজ করছিলেন। কিন্তু সফল হননি। এক সময়ে পর্দায় ধনুষকে দেখে তারা চিনতে পারেন বলে দাবি।

জানা যায়, চেন্নাইতে গিয়ে ধনুষের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু অভিনেতা নাকি দেখা করেননি।

২০১৭ সালের এপ্রিলে অবশ্য ওই মামলাটি জিতে যান ধনুষ। আদালত দম্পতির আবেদন খারিজ করে দেয়। ধনুষ মেডিকেল পরীক্ষাও করিয়েছিলেন। কিন্তু তার ফলাফলে নির্দিষ্ট কিছু ছিল না।

তামিল পরিচালক কস্তুরী রাজা এবং বিজয়লক্ষ্মীকেই নিজের বাবা-মা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন ধনুষ। কস্তুরী রাজা-বিজয়লক্ষ্মী এই দাবি প্রমাণের জন্য ধনুষের বার্থ সার্টিফিকেটও জমা দিয়েছিলেন।

তবে আবেদনকারী ওই বৃদ্ধ দম্পতি অবশ্য সে সব মিথ্যা বলে দাবি করেছিলেন। ২০২০ সাল পর্যন্ত এই লড়াই চলেছিল।

আর এবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন সেই দম্পতি। দেখা যাক এবার কী হয়! সূত্র- আনন্দবাজার অনলাইন 

আরএমএ//এনএস//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি