মেডিসিন সাপোর্টে বেঁচে আছেন এরশাদ: জিএম কাদের
প্রকাশিত : ১৭:৫৩, ৬ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ১৯:৩৮, ৬ জুলাই ২০১৯

সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে কৃত্রিম সাপোর্ট খুলে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন তার ছোট ভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন,মেডিসিনের সহযোগীতা নিয়ে বেঁচে আছেন তিনি। তবে শঙ্কামুক্ত নন।
শনিবার দুপুর ১২টায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে এরশাদের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি বলেন,পল্লীবন্ধুর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত আছে। কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস চলেছে। শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে তার কৃত্রিম সাপোর্ট খুলে ফেলা হবে।
সিএমএইচের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন,গত দু’দিন ধরে এরশাদকে ডায়ালাইসিস (হেমো ডায়া ফিল্টারেশন এবং হেমো পারফিউশন) দেওয়া হচ্ছে। এতে তার শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় পানি বের করা হচ্ছে এবং ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, চিকিৎসকরা এরশাদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সব রিপোর্ট সিঙ্গাপুরে পাঠিয়েছেন। তবে সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞরা পল্লীবন্ধুকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর বিষয়ে নিরুৎসাহিত করেছেন।
জিএম কাদের বলেন,‘ডাক্তাররা বলেছেন, তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন। ওনার অবস্থা আশঙ্কাজনক। যেকোনো সময় যেকোনো দিকে যেতে পারে। তবে তারা আশাবাদী দু’দিনের চিকিৎসায় তার অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে।তারা চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। আরও দু-তিনদিনের মধ্যে ওনার অবস্থা আরেকটু উন্নতি হলে, উনি স্বাভাবিক হতে পারেন।’
এরশাদকে রক্ত দিতে হাজার হাজার মানুষ এসেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন,ওনার (এরশাদ) জন্য বি পজিটিভ রক্ত দরকার, স্ক্রলে এমন খবর প্রচারের পর হাজার হাজার মানুষ রক্ত দিতে এসেছিলেন। ব্লাড ব্যাংকে মানুষ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে এখন রক্তের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনে আবার রক্ত নেওয়া হবে। যারা এসেছিলেন তাদের নাম ও মোবাইল নম্বর রেখে দেওয়া হয়েছে।
এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এরশাদের রোগমুক্তি এবং সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
ব্রিফিংকালে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সুনীল শুভ রায়, এসএম ফয়সল চিশতী, আজম খান, রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, এসএম ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, আলমগীর সিকদার লোটন, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মেজর (অব.) আশরাফ উদ দৌলা, ড. নুরুর আজহার, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, নুরুর ইসলাম নুরু, দিদারুল কবির দিদার, যুগ্ম মহাসচিব সুলতান আহমেদ সেলিম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন, সুলতান মাহমুদ, এমএ রাজ্জাক খান, বারী মুন্সী, মোস্তফা আল মাহমুদ, গোলাম মোস্তফা, মো. হুমায়ুন খান, মো. হাবিবুল্লাহ, মো. মিল্টন মেল্লা, কেন্দ্রীয় নেতা মো. মহিবুল্লাহ, মো. নেওয়াজ আলী ভূইয়া, ফজলে এলাহী সোহাগ, আবু তৈয়ব, মো. জাকির হোসেন মৃধা, মো. শফিউল ইসলাম শফি, আনোয়ার হোসেন তোতা, মীর মো. নাজিম উদ্দিন ভূইয়া উপস্থিত ছিলেন।
এনএম/কেআই
আরও পড়ুন