ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪

যখন টাকা ছিল না, তখন? কী দিয়ে চলত লেনদেন?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:০২, ৬ জানুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১৯:০৪, ৬ জানুয়ারি ২০২২

একটা সময় ছিল, যখন টাকার চল ছিল না। কিন্তু তাই বলে কি থেমে ছিল মানুষের জীবনযাত্রা? থেমে ছিল লেনদেন? না। তাহলে কী দিয়ে চলত কেনাবেচা? কীসের বিনিময়ে পণ্য কিনত মানুষ? চলুন দেখে নিই এক নজরে। 

ঝিনুকের খোলস 

মানবজাতির ইতিহাসে বিশ্বজুড়েই ঝিনুকের খোলস মুদ্রা হিসেবে ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়৷ শুধু খাবার বা অন্য দ্রব্য নয়, সেবার বিনিময়েও দেয়া হতো ঝিনুকের খোলস৷ এই মুদ্রার সবচেয়ে বেশি ব্যবহার দেখা যেতো আফ্রিকা, ইউরোপ ও এশিয়ায়৷

লবণ 

রোমান সাম্রাজ্যের সময় থেকেই মুদ্রা হিসেবে লবণের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে৷ মাংস ও অন্যান্য খাবার সংরক্ষণে, এমনকি ক্ষত সারাতেও লবণের ব্যবহার ছিল বহুল প্রচলিত৷ ফলে ধীরে ধীরে এই মুদ্রার ব্যবহার রোমান সাম্রাজ্যের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছিল।

চা পাতার ইট

নবম শতাব্দী থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগ পর্যন্ত তিব্বত, রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া ও চীনে চা পাতার বিশেষ ধরনের ইট ব্যবহৃত হতো মুদ্রা হিসেবে৷ চা পাতাকে চাপ দিয়ে তৈরি করা হতো এই বিশেষ আকারের ইট৷ তবে ব্যবহারের এলাকা, চায়ের সহজলভ্যতা, মানের ওপর নির্ভর করে ইটের মূল্যেও হতো তারতম্য৷

বীবরের চামড়া 

বীবর এক ধরনের উভচর পশু৷ নেটিভ অ্যামেরিকানদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে ইউরোপীয়দের প্রথম পছন্দ ছিল এই বীবরের চামড়া৷ এই চামড়া নেটিভ অ্যামেরিকান এবং ইউরোপীয়দের উভয়ের কাছেই ছিল মূল্যবান৷



মাছ

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্থানে একসময় মুদ্রা হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ছিল মাছ৷ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থেকে বাঁচতে অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতো শুকনা মাছ৷ এশিয়া ও আফ্রিকা তো বটেই, ইউরোপের অনেক এলাকাতেও মুদ্রা হিসেবে স্বর্ণ স্বীকৃতি পাওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যবহৃত হতো মাছের মুদ্রা৷ 

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এসবি/ 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি