যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ‘বাণিজ্য যুদ্ধ` নিয়ে মুখ খুললেন চীনের প্রেসিডেন্ট
প্রকাশিত : ১৭:৪৯, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৭:৫১, ১১ এপ্রিল ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ কারও জন্যই লাভজনক নয় বলে মন্তব্য করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ ও বাণিজ্যিক উত্তেজনার মধ্যেই এই প্রথম এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন তিনি।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেইজিংয়ে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে শি বলেন, “এই বাণিজ্য যুদ্ধে কেউ বিজয়ী হবে না। বরং এতে বৈশ্বিক অর্থনীতিই ক্ষতির মুখে পড়বে। যে কেউ যদি বিশ্বব্যবস্থার বিরুদ্ধে যায়, সে একসময় নিজেই বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।”
শি আরও বলেন, “আমরা ভয় পাই না। গত ৭০ বছর ধরে চীনের উন্নয়ন নির্ভর করেছে আত্মবিশ্বাস ও পরিশ্রমের ওপর, কোনো বহির্ভরতার ওপর নয়। অযৌক্তিক চাপ বা দমন-পীড়ন চীনকে দমাতে পারবে না।”
গত মার্চে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবার চীনের সব পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেন। এরপর ২ এপ্রিল আরও একটি ঘোষণায় তিনি শুল্ক হার বাড়িয়ে ৩৪ শতাংশে উন্নীত করেন।
এর জবাবে চীন ৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর একই হারে শুল্ক আরোপ করে। ফলে ট্রাম্প আরও কঠোর হয়ে ওঠেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ ৭ এপ্রিল এক পোস্টে তিনি হুমকি দেন— ৮ এপ্রিলের মধ্যে চীন যদি তাদের শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তবে ৯ এপ্রিল থেকে সব চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরও ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে।
চীনের পক্ষ থেকে সাড়া না আসায় ট্রাম্প তার ঘোষণা অনুযায়ী ৯ এপ্রিল শুল্ক কার্যকর করেন। এতে চীনা পণ্যের ওপর মোট শুল্ক বেড়ে দাঁড়ায় ১০৪ শতাংশে। জবাবে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করে।
বাণিজ্য যুদ্ধ আরও জটিল রূপ নেয় যখন ১০ এপ্রিল ট্রাম্প ফের শুল্ক বাড়িয়ে দেন। এখন পর্যন্ত চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের হার দাঁড়িয়েছে ১৪৫ শতাংশে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘অপমানজনক ও একতরফা’ নীতির বিরুদ্ধে চীন শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই চলমান উত্তেজনা বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রবাহে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।
এসএস//
আরও পড়ুন