ঢাকা, বুধবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৫

যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে মুছে গেল শেখ মুজিব-হাসিনার নাম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৮, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১২:০০, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার নামাঙ্কিত স্থাপনার নাম পরিবর্তন এবং ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুরুটা হয় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ দিয়ে। এরপর বিক্ষোভ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থাপনায় ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট সকল স্থাপনার নাম পরিবর্তন ও ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার অনলাইন ভাষণের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ‘বুলডোজার মিছিলের’ ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মূলত এরপর রাত ৮টার দিকে গেট ভেঙে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় সেখানে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে তারা শেখ হাসিনার ধানমন্ডি ৫ নম্বরের বাসভবন সুধা সদনেও আগুন দেওয়া হয়।

আর এ ঘটনার পরপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ মুজিব ও হাসিনার নামাঙ্কিত স্থাপনার নাম পরিবর্তন ও ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নাম পরিবর্তন ও ভাঙচুর:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল’ করা হয়েছে। এছাড়াও বিজয় ৭১ ও অমর একুশে হলের নামফলক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে হাসিনার নাম।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়, নামফলক ভেঙে ফেলা হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নামে থাকা হলগুলোর নাম বদলে নতুন নামকরণ করা হয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনার ছবিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল অপসারণ করা হয়। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল গুঁড়িয়ে ফেলা হয়।

উল্লেখ্য, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ছয় মাস পূর্তিতে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের দাবি, তারা কোনো স্বৈরাচারী শাসকের নাম ও প্রতীক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাখতে দেবে না।

এমবি//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি