রফতানি আয় বাড়লেও কিছু প্রতিবন্ধকতায় বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন চট্টগ্রাম ব্যবসায়ীরা
প্রকাশিত : ১৫:১২, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১৫:১২, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
রফতানি আয় বাড়লেও কিছু প্রতিবন্ধকতায় বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে দক্ষ জনশক্তি আর বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা গেলে বিনিয়োগের পাশপাশি রফতানী আয় আরো বাড়বে বলে মনে করেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী শিল্পপতিরা। এজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদও দিয়েছেন তারা।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২-৭৩ সালে যেখানে ৬৮ দেশে ২৫ ধরনের পণ্য রফতানি হতো সেখানে বর্তমানে ১৯৬টি দেশে রফতানি হচ্ছে ৭২৯ ধরনের পণ্য। এসব পণ্যের মধ্যে আছে তৈরী পোষাক, নীটওয়্যার, হিমায়িত খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোম ট্রেক্সটাইল এবং কৃষিজাত পণ্য। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে আয় হয়েছে ১৩ হাজার ৬২৮ মিলিয়ন ডলার। যা এর আগের বছরের চেয়ে ৬ দশমিক দুই শূণ্য শতাংশ বেশী।
রফতানী আয় আরো বাড়াতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যাংক ঋন সহজীকরণসহ বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার পরামর্শ ব্যবসায়ীদের।
একই মত চট্টগ্রামের তরুণ এই শিল্প উদ্যোক্তার। সমন্বিত পরিকল্পনায় বিনিয়োগ যেমন বাড়বে সেইসাথে বাড়বে রফতানী আয়।
এদিকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বে অন্য দেশের তুলনায় উৎপাদনে খরচ কম হওয়ায় বিদেশী বিনিয়োকারীর বাংলাদেশের দিকেই ঝুঁকছে বলে জানালেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি। এ জন্যে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার তাগিদ দিলেন তিনি।
দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি এবং রফতানী আয়ের ধারা অব্যহত রাখতে সরকারও কার্যকর উদ্যোগ নেবে বলে আশা ব্যবসায়ী-শিল্পমালিকদের।
আরও পড়ুন