ঢাকা, শনিবার   ০৫ জুলাই ২০২৫

রাজাকারের তালিকা প্রকাশে যুদ্ধাপরাধীদের সংশ্লিষ্টতা আছে: টিপু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৪১, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

রাজাকারের তালিকায় নাম থাকা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যপ্রনোদিত বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক  অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউর গোলাম আরিফ টিপু। একইসঙ্গে যুদ্ধাপরাধী লোকজনের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাজাকারের তালিকায় নাম আসায় বিস্মিত ও হতবাক প্রকাশ করে গোলাম আরিফ টিপু বলেন, এ ঘটনায় দেশের নাগরিক হিসেবেও আমি লজ্জিত। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলনে যার ভূমিকা ছিল তাকে কারা কেন এই তালিকায় এনেছে, এর তদন্ত হওয়া উচিত।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি পর্যালোচনা করে গত রোববার প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এতে রাজশাহী বিভাগের ৮৯ নম্বর তালিকায় (ক্রমিক নম্বর ৬০৬) আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুসহ ৫ জনের নাম রয়েছে ।

অন্যরা হলেন- অ্যাডভোকেট মহসিন আলী, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, তৎকালীন জেলা প্রশাসক আব্দুর রউফ ও পুলিশ কর্মকর্তা এস এস আবু তালেব।

রাজশাহী বিভাগে স্বাধীনতাবিরোধীদের এক থেকে ১৫৪টি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এসব তালিকায় কয়েকশ ব্যক্তির নাম রয়েছে। যাদের কয়েকজনের নাম দ্বিতীয়বারও রয়েছে।

৮৯ নম্বর তালিকায় (ক্রমিক নম্বর ৬০৬) থাকা এই পাঁচজনের মন্তব্যের ঘরে লেখা আছে তাদের অব্যাহতি দিতে জেলা কমিটি আবেদন করেছিল। এর বাইরে কোনো তথ্য নেই।

অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।

১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের সময় রাষ্ট্রভাষা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, রাজশাহীর তিনি যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তার নেতৃত্বেই মূলত রাজশাহীতে ভাষা আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫ সদস্যবিশিষ্ট স্টিয়ারিং কমিটির অন্যতম সদস্যও ছিলেন টিপু।

ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১৯ সালে একুশে পদক প্রদান করে।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি