রামপালের উপর ইউনেসকোর আপত্তি প্রত্যাহার : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
প্রকাশিত : ২০:১৩, ৬ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১১:০৫, ৮ জুলাই ২০১৭
বাগেরহাটের রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির যে আপত্তি ছিল, সংস্থাটি তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পোলান্ডের ক্র্যাকো শহরে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪১তম অধিবেশনে ইউনেসকো তাদের আপত্তি প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের আন্তমন্ত্রণালয়ের একটি দল উপস্থিত ছিল।
ওই দলে ছিলেন বিদ্যুত সচিব আহমেদ কায়কাউস, ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউনেসকোয় স্থায়ী প্রতিনিধি এম শহিদুল ইসলাম, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জিয়াউর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাইসুল আলম মণ্ডল, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালিদ মাহমুদ, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হুসাইন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সুলতান আহমেদ।
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির এই সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানিয়ে তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে ভারসাম্য বজায় রাখতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার জন্য কমিটিকে ধন্যবাদ।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অধিবেশনে সুন্দরবনের ঐতিহ্য রক্ষায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কমিটিকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় রয়েছে সুন্দরবন। তাই সুন্দরবনের কাছে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি ও পরিবেশবাদীরা। বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের আপত্তির মুখে রামপাল পরিদর্শন করে ইউনেসকো ও পরিবেশ সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন আইইউসিএনের একটি দল। পরে পরিদর্শক দল প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনে রামপালকে সুন্দরবনের জন্য ‘মারাত্মক হুমকি’ বলে উল্লেখ করে প্রকল্পটি অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়।
ডব্লিউএন
আরও পড়ুন