ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

রাহুলের জীবনে বিশেষ কেউ এসেছে?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৩৪, ৬ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১৪:৪১, ৬ অক্টোবর ২০১৮

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী যখনই কোনও মঞ্চে আলাপচারিতায় বসেন, ঘুরেফিরে প্রশ্নটা আসেই, কবে বিয়ে করছেন? মাস দুয়েক আগে এমনই এক প্রশ্নের জবাব এড়াতে ৪৮ বছরের রাহুল বলেছিলেন, তার বিয়ে তো দলের সঙ্গে হয়ে গেছে। ফের ধেয়ে এল প্রশ্নটি। তবে একটু অন্যভাবে- ‘জীবনে বিশেষ কেউ আছেন?’

এক গাল হেসে ফেললেন রাহুল। সামনে তখন বসে মা সোনিয়া গান্ধী, বোন প্রিয়ঙ্কা। তার স্বামী রবার্ট বঢরা। আর কংগ্রেসের এক ঝাঁক নেতা। প্রশ্ন শুনে হাসতে হাসতে প্রিয়ঙ্কার দিকে ইশারা করলেন রাহুল। যেন বোঝাতে চাইলেন, ‘দেখ, আবার সেই প্রশ্ন!’ মা-বোন সবাই হাসছেন। রাহুল এবারেও সরাসরি জবাব এড়িয়ে বললেন, ‘আমার জীবনে অনেক বিশেষ মানুষ আছে। আমার মা, বোন, বন্ধুরা।’

প্রশ্নকর্তা নাছোড়, ‘একজন বিশেষ কেউ?’ রাহুলের হাসি আরও চওড়া হল। বললেন, ‘না, বিশেষ কেউ নেই।’

দিল্লিতে এক সংবাদমাধ্যমের আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাহুলের সঙ্গে আলাপচারিতা। প্রশ্নকর্তাকে তার আগেই রাহুল বলছিলেন, ‘আপনি তো অনেক সহজ প্রশ্ন করছেন। আমি আরও কঠিন প্রশ্ন নিতে পারি। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী কী এমন খোলামেলা প্রশ্ন নিতে পারবেন?’ প্রায় দুই দশকের সভানেত্রী মায়ের হাত থেকে কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন রাহুল। দশ মাসে দলের সব সিদ্ধান্তেই নিজের ছাপ রাখছেন। প্রশ্ন করা হল, ‘মায়ের সঙ্গে আপনার কার্যশৈলীর ফারাকটি কোথায়?’

এবারেও হেসে ফেললেন দর্শক আসনে বসে থাকা সোনিয়া। মুখিয়ে রইলেন রাহুলের দিকে, কী বলেন তিনি? মায়ের মুখের দিকে চেয়ে অনেকটা ভাবলেন। তার পর রাহুল বললেন, ‘মায়ের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। একটি বিষয় বলতে হলে ধৈর্য। আমি আগে অনেক অধৈর্য ছিলাম। অনেক সময় বরং আমিই মাকে বলি, তুমি অনেক বেশি ধৈর্যশীল। তবে আমরা দু’জনেই শুনি। আমি আগে কম শুনতাম, এখন বেশি শুনি।’

কিন্তু ফারাকটি কোথায়? রাহুলের কথায়, ‘এই যেমন গত কালই মা আমাকে বলছিলেন যে, মা চলেন সহজাত ধারণার ভিত্তিতে। আর আমি অনেক ভেবেচিন্তে চলি।’ এর পরেই কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘আসলে নেতৃত্ব নিরন্তর তৈরি হতে থাকে। বদলাতে থাকে। আমিও আরও বেশি মানুষের কথা শুনে গভীরভাবে বোঝার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

সূত্র: আনন্দবাজার

একে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি