রেল ক্রসিংয়ের অর্ধেকেই নেই গেটম্যান, বাড়ছে দুর্ঘটনা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:৪৯, ২৬ জুলাই ২০২২
সারাদেশের রেলক্রসিংয়ের অর্ধেকেরই অনুমোদন নেই। বৈধ দেড় হাজার রেল ক্রসিংয়ের অর্ধেকেরই নেই গেটম্যান। অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। ছয় মাসে শুধু গাজীপুরেই প্রাণ গেছে ৫০ জনের। যদিও সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়ে দায় এড়াচ্ছে রেল কৃর্তপক্ষ।
গাজীপুরের টঙ্গী থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু রেললাইনে কালিয়াকৈর, জয়দেবপুর থেকে শ্রীপুর এবং টঙ্গী থেকে কালিগঞ্জ পর্যন্ত অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা ৩৫টি। গেল ছয় মাসে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ জন।
সর্বশেষ ২৪ জুলাই গাজীপুরের শ্রীপুরে মাইজপাড়া ক্রসিংয়ে ট্রেনের সাথে শ্রমিকবাহী বাসের সংঘর্ষে মারা গেছেন চার জন।
রেল লাইনের অরক্ষিত অবৈধ লেভেল ক্রসিংয়ে ‘নিজ দায়িত্বে রাস্তা পার হোন’ এমন সাবধান বাণী দিয়ে দায় সেরেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
জয়দেবপুর জংশন রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, “
রাজশাহী-ভাটিয়াপাড়া-গোপালগঞ্জ রুটে অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং ৩০টি। নেই গেট বা গেটম্যান, এমনকি নেই সতর্কতা সাইনবোর্ডও। ২০১৮ সালে চালু হওয়ার পর এ রুটে অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গেলো ২১ জুলাই কাশিয়ানীর কাগদী রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নছিমনের যাত্রী ছয় নির্মাণ শ্রমিক নিহত হন।
স্থানীয়রা জানান, “যে সময়ে ট্রেনটা আসে সেই সময়ে একজন লোকজন থাকবেন। তাদের ব্যারিকেড দেওয়ার যে সিস্টেম আছে এটা প্রত্যেকটা ক্রসিংয়ে থাকা উচিত।”
একই চিত্র ময়মনসিংহে। জেলার শতাধিক লেভেল ক্রসিংয়ের বেশিরভাগই অরক্ষিত। আতঙ্কের মধ্যেই রাস্তা পারাপার করার কথা জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় নাগরিকরা জানান, “ক্রসিংয়ে বাঁশ বা অন্য কিছু দিয়ে যানবাহন আটকাবেন এ রকম কিছু নাই। বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে চলতে গিয়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকি সবাই।”
তবে স্থানীয় রেলকর্তার দাবি, অনুমতি ছাড়াই এলাকার লোকজন তৈরি করছেন অরক্ষিত রেলক্রসিং।
জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. রেজাউল করিম বলেন, “অনুমোদন নিয়ে ক্রসিং সৃষ্টি করা দরকার। কেননা অরক্ষিত রেলগেটে অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে।”
রেলের দেয়া তথ্যে, সারাদেশে রেলপথে মোট ক্রসিং আছে ২ হাজার ৮৫৬টি। এরমধ্যে ১ হাজার ৩৬১টিরই অনুমোদন নেই। আবার ১ হাজার ৪৯৫টি বৈধ ক্রসিংয়ের মধ্যে ৬৩২টি ক্রসিংয়েই নেই গেটম্যান।
এএইচ
আরও পড়ুন