ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন

রোহিঙ্গা নিধন অভিযান চালায় ১৩ সেনা কর্মকর্তা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:১৮, ২৭ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১৪:১৯, ২৭ জুন ২০১৮

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়ার ঘটনায় সেনাবাহিনীর প্রধানসহ ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করেছে মানবাধিকারভিত্তিক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। শুধু তাই নয়, চিহ্নিত ওইসব সেনাকর্মকর্তা ও পুলিশের বেশ কয়েকজন ঊর্ধতন কমর্কতার বিরুদ্ধে‘মানবতাবিরোধী অপরাধে’ অভিযুক্ত করে তাঁদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারেরও দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

বুধবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের চুক্তি কিংবা রোম সংবিধি অনুসারে ১১ কর্মকর্তার মধ্যে ৯ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ হাতে পেয়েছে অ্যামনেস্টি। গত বছরের আগস্টে শুরু হওয়া রোহিঙ্গাবিরোধী নিধনযজ্ঞে এসব কর্মকর্তা হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে ৯ মাসের বেশি গবেষণা করে ১৯০ পাতার প্রতিবেদনটি তৈরি করতে ৪০০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। গত বছরের ২৫ আগস্ট ভোরে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) হামলার অভিযোগ এনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সাধারণ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নিধন অভিযান শুরু করে। তাদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে ৭ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।


অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইনে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ভস্মীভূত করে দেয়া ও জবরদস্তিমূলক খাবার বঞ্চিতসহ সহিংসতার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। মানবাধিকার সংস্থাটি আরও জানায়, এসব কেবল দুর্বৃত্ত সেনা কিংবা ইউনিটসেরই কার্যক্রম ছিল না, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এটি ছিল উচ্চপর্যায়ের সুসংগঠিত ও পরিকল্পিত হামলা।

প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, ‘অত্যন্ত নিষ্ঠুরতার সঙ্গে সুপরিকল্পতভাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্মূলে এ দমন অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আইনবহির্ভূতভাবে শিশুসহ কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে।’ তবে সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে নোবেলজয়ী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন মিয়ানমার সরকার বর্বরতার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি