ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা সংকট আরও ভালোভাবে সামলানো যেত: সু চি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০০, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৪:১৭, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মিয়ানমারের রাখাইনে সৃষ্ট রোহিঙ্গা সংকট আরও ভালোভাবে সামাল দেওয়া যেত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির নেত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী অং সান সু চি। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই কিছু উপায় ছিলো। যারা মাধ্যমে এই পরিস্থিতিটা আরও ভালোভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব ছিল।

ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে আজ বৃহস্পতিবার আসিয়ান নিয়ে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামে এক বক্তৃতায় এ মন্তব্য করলেন সু চি। তিনি বলেন, এখন ভাবলে মনে হয়, কিছু উপায় অবশ্যই ছিল যার মাধ্যমে পরিস্থিতিটা আরও ভালোভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব ছিল।

নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার ছুতোয় গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে নিধনযজ্ঞ চালায় দেশটির সেনারা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটি জাতিগত নিধন বলে অভিহিত করেছে। এই নিধন থেকে বাঁচতে দলে দলে রোহিঙ্গারা নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। এখন পর‌্যন্ত ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ওই সময় মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী যিনি শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন তিনি নিশ্চুপ ছিলেন।

পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যখন উদ্ধাস্তু-শরনার্থীদের জন্য দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে সেখানে বাংলাদেশ নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের সাদরে গ্রহণ করে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ সরকারসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের দাবি জানিয়ে আসছে। এক বছর অতিবাহিত হলেও মিয়ানমার এখনও প্রত্যাবাসন শুরু করে নি।

বৃহস্পতিবার আসিয়ান নিয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনে কথা বলা সময় সু চি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি দীর্ঘমেয়াদে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আইনে স্বচ্ছতা প্রয়োজন। আমরা নির্ধারণ করে রাখতে পারি না যে আইনের মাধ্যমে কাকে সুরক্ষা দেওয়া হবে।

সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি স্বাধীন তথ্যানুসন্ধান মিশনের প্রতিবেদনে সম্প্রতি বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ‘গণহত্যার অভিপ্রায়’ থেকেই রাখাইনের অভিযানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটিয়েছে।

ওই প্রতিবেদন আসার পর জাতিসংঘের বিদায়ী মানবাধিকার হাই কমিশনার জাইদ রা’দ আল হুসেইন বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নৃশংস দমন অভিযানের ঘটনায় মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির পদত্যাগ করা উচিত ছিল।

অবশ্য মিয়ানমার বরাবরই সেসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলে আসছে, তাদের অভিযান ছিল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, যারা গতবছর ২৫ অগাস্ট নিরাপত্তা বাহিনীর স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল।

সূত্র : রয়টার্স।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি