ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

রোহিঙ্গা সঙ্কটে বিশ্বনেতারা ব্যর্থ: অ্যামনেস্টি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৫৫, ২৪ আগস্ট ২০১৮

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের এক বছর পার হয়ে গেলেও বিশ্বনেতাদের আন্তরিকতার অভাবে জড়িত সেনা সদস্যদের বিচার করা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছে মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের এক বছর পূর্তিতে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনটি এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।

প্রচণ্ড দমন-পীড়নের মুখে গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। এরপর থেকে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, যা এখনও চলছে।

মিয়ানমারের বাহিনীর ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। তবে মিয়ানমার সরকার আন্তর্জাতিক অভিযোগ অস্বীকার করে বলে আসছে, ওই অভিযান চালানো হয়েছে ‘সন্ত্রাসীদের বিরদ্ধে’।

শুক্রবার অ্যামনেস্টির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,রাখাইনে রোহিঙ্গা গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দেওয়া ছাড়াও সেখানে স্থলমাইনও ব্যবহার করেছে সেনাবাহিনী। এছাড়া হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, জোরপূর্বক অনাহারে রাখা এবং দেশত্যাগে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো ঘটনাও ঘটেছে সেখানে।

অ্যামনেস্টির ক্রাইসিস রেসপন্স ডিরেক্টর তিরানা হাসান বিবৃতিতে বলেন, “এই বর্ষপূর্তি লজ্জাজনক একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করতে না পারায় আবারও তারা এ ধরনের নৃশংসতা চালাবে। আমাদের অবশ্যই আর এমন ঘটনা ঘটতে দেওয়া উচিত হবে না।”

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পথ খুলতে গত জুনে জাতিসংঘ এবং মিয়ানমার সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হলেও এর খসড়া ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তা আর আলোর মুখে দেখেনি। প্রথম ধাপে কিছু রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানো হলেও তারা একই কায়দায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।

গত জুনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে (উই উইল ডেস্ট্রয় এভরিথিং) রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ওপর দমন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ১২ সেনার নাম উঠে আসে। এদের মধ্যে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লায়িং রয়েছেন। সংগঠনটি এদেরকে আটক করে জবাবদিহিতার আওতায় আনার সুপারিশ করেছে। বিশেষ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের অনুমোদন নিয়ে তাদেরকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে হাজির করা এবং ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য তাদের অপরাধের তথ্যপ্রমাণ সংরক্ষণের একটি পদ্ধতি খুঁজে বের করার সুপারিশ করেছে অ্যামনেস্টি।

এমজে/ এমজে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি