ঢাকা, সোমবার   ০৫ মে ২০২৫

রোহিঙ্গা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করল মিয়ানমার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০০:২৫, ১১ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২৩:২৫, ১১ জানুয়ারি ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

অবশেষে রোহিঙ্গা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে নিল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে এ স্বীকারোক্তি দেয় দেশটির সেনাবাহিনী।

তবে মাত্র ১০ জন রোহিঙ্গাকে হত্যার বিষয়টি মেনে নেয় মিয়ানমার। রাখাইন রাজ্যে “সন্ত্রাস দমন” এর সময় আটক হওয়া এই ১০জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করা হয় বলে বিবৃতিতে জানায় সেনাবাহিনী। এ হত্যাকাণ্ডে সেনাবাহিনীর “কতিপয়” সদস্যের পাশাপাশি স্থানীয় বৌদ্ধ বাসিন্দারাও জড়িত ছিল বলে একই বিবৃতিতে জানানো হয়। খবর রয়টার্সের।

সেনাবাহিনী জানায়, “স্থানীয় গ্রামবাসী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে”।

আন্তর্জাতিক মহলের দাবির মুখে পরিচালিত এক তদন্তের সূত্রে সেনাবাহিনী জানায়, “আটক ঐ ১০ ‘বাঙালি সন্ত্রাসী’দের কোথাও স্থানান্তরিত করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই তাদের মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত হয় সেখানকার নিরাপত্তা বাহিনী”।

অন্যদিকে এ ঘটনার জন্য স্থানীয় বৌদ্ধ গ্রামবাসীদের প্রতি দায় চাপায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। একই বিবৃতিতে তারা জানায় যে, সন্ত্রাসী দমন অভিযানে রোহিঙ্গা ছাড়াও স্থানীয় বৌদ্ধ গ্রামবাসীরাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আর এতে ঐ ১০জন মুসলিম রোহিঙ্গার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল বৌদ্ধরা। তারাই প্রথমে ঐ রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা চালায় বলে দাবি করে সেনাবাহিনী।

এক পর্যায়ে মৃতুর কাছাকাছি থাকা ঐ রোহিঙ্গাদের গুলি করে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

নিজেদের দোষ স্বীকারের পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত “বৌদ্ধ গ্রামবাসী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের” বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

বাস্তবে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহতের সংখ্যা অনেক অনেক বেশি হলেও দেশটির এমন “দোষ স্বীকার”-কে নজিরবিহীন হিসেবেই দেখছেন আন্তর্জাতিক বোদ্ধারা। পাশাপাশি এমন দোষ স্বীকারকে আবার অনেকেই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে “চোখে ধূলা দেওয়া” হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন।

সূত্র: রয়টার্স

এসএইচএস/টিকে  


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি