রোহিঙ্গাদের অবস্থা জানতে বাংলাদেশে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি
প্রকাশিত : ১০:১০, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২২:৪৬, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরনার্থীদের অবস্থা জানতে বাংলাদেশে এসেছেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনে এরদোগান। তিনি বৃহস্পতিবার ভোররাত ৩টার দিকে ঢাকা পৌঁছান। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ঢাকা বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এমিনে এরদোগানকে নিয়ে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন। ধারণা করা হচ্ছে, ঢাকা ত্যাগের আগে আজই এমিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
২৪ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে হামলার পর সেখানে নতুন করে অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর বাংলাদেশ সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে।
জাতিসংঘের হিসাব মতে, বুধবার পর্যন্ত এই দফায় প্রায় এক লাখ ৪৬ হাজার মানুষ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে পালিয়ে আসা কয়েকজন রোহিঙ্গা বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ মারছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
মঙ্গলবার এই প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। শান্তিতে নোবেলজয়ী দেশটির গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রীর কাছে রোহিঙ্গাদের উপর নিপীড়নে মুসলিম বিশ্বের গভীর উদ্বেগ তুলে ধরেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা ‘গণহত্যার শামিল’ এবং সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এরদোগান।
রাখাইন রাজ্যের সবাইকে তার সরকার সুরক্ষা দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন সু চি। তিনি বলেন, ভুয়া ছবি ও খবরের মাধ্যমে বাস্তব পরিস্থিতিকে বিকৃত করে সন্ত্রাসীদের স্বার্থে প্রচার করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিপীড়ন চলে আসছে কয়েক দশক ধরে। বিভিন্ন সময়ে নিপীড়ন সহিংসতার মুখে সেখান থেকে পালিয়ে এসে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এসব শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে বা নাগরিক হিসেবেও মেনে নিতে নারাজ মিয়ানমার।
//আর//এআর
আরও পড়ুন