ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪

লকডাউনে শফিকের আয় ২ লাখ টাকা

তানভির আহমেদ, হাবিপ্রবি থেকে

প্রকাশিত : ০৯:৪২, ১৪ জুলাই ২০২১

মো: শফিক মাহমুদ

মো: শফিক মাহমুদ

মহামারী করোনা সবার জীবনে অভিশাপ হয়ে এলেও আশীর্বাদস্বরূপও হয় কারও কারও ক্ষেত্রে। তাদেরই একজন মো: শফিক মাহমুদ। করোনা মহামারীর কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটির এই সময়কে কাজে লাগিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি শফিক ফ্রিল্যান্সিং শিখে আয় করেছেন প্রায় দুই লাখ টাকা।

মো: শফিক মাহমুদ গাইবান্ধা সদর উপজেলার পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পড়াশোনা করছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ব্যাচের শিক্ষার্থী শফিক বাবা-মায়ের তিন সন্তানের মধ্যে সবার বড়। মাছ ধরা ও ঘুমানো তার শখ। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ না হলেও ইতিমধ্যেই হয়ে গেছেন এলাকার যুবকদের কাছে এক অনুপ্রেরণার নাম। অনেকেই তার ফ্রিল্যান্সিংয়ের গল্প শুনে ছুটে আসছেন তার কাছে, শিখছেন ফ্রিল্যান্সিং।  সাধ্যমত চেষ্টাও করছেন শফিক। সহযোগিতা করতে কখনও কখনও নিজের কাজের ভিডিও করেও পাঠান তাদেরকে।

লকডাউনের শুরুতে শুয়ে-বসে অলস সময় কাটালেও পরবর্তীতে শফিক লেগে যান কিভাবে সময়টাকে কাজে লাগানো যায়। এর মধ্যে সে 'বাংলাদেশ ওপেন লার্নিং সোসাইটি' ফেসবুক গ্রুপ থেকে বিনামূল্যে এক্সেলের ওপর বেশ কয়েকটি কোর্স সম্পন্ন করেন। হঠাৎ একদিন ফেসবুক চালানোর সময় তার চোখ আটকে যায় সরকারের আইসিটি বিভাগের 'লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট' নামে একটি বিজ্ঞাপনের ওপর। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবেদন করার পর থেকে নিয়মিত ৫০টি ক্লাস সম্পন্ন করে হয়ে শফিক ওঠেন গ্রাফিক্স ডিজাইনার।

সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে ওঠার গল্প জানতে চাইলে শফিক বলেন, "আমি প্রথম অ্যাকাউন্ট খুলি ফাইবার মার্কেটপ্লেসে। অ্যাকাউন্ট খোলার ৪৩ দিন পর প্রথম অর্ডার পাই। এরপর ধীরে ধীরে ফ্রিল্যান্সার, পপুলারহাউস, আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট খুলি। প্রথম অর্ডারের পর ৫৬ দিন পর্যন্ত কোনও অর্ডার ছিল না। রেগুলার মার্কেটিং করতাম কিন্তু কোনও ফল আসতো না। এরপর ৫৮তম দিনে দ্বিতীয় অর্ডার পাই ১৫ ডলারের। এভাবেই আমার যাত্রা শুরু এবং জুলাই মাসে আমার ফ্রিল্যান্সিং যাত্রার ৮ মাস পূর্ণ হলো। এই সময়ের মধ্যে আমি ফাইবার থেকে ৯১টি অর্ডার সম্পন্ন করে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫শ ৯৩ টাকা এবং মার্কেটের বাইরে থেকে ১০ হাজার ১০ টাকা আয় করি"।

পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং চালিয়ে যাবেন উল্লেখ করে শফিক আরও বলেন, ভবিষ্যতে একটি বড় আইটি ফার্ম দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি