শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলা, ৩ ফিলিস্তিনি নিহত
প্রকাশিত : ১২:১৩, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গাজায় যুদ্ধবিরতির মাঝেও বর্বরতা থেমে নেই দখলদারবাহিনী ইসরায়েলের। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দখলকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম শরণার্থী শিবিরে রীতিমত ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তারা। ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে ৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ভূখণ্ডটির একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনী গুলি ও গোলাবর্ষণ করলে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
আর নিহত ফিলিস্তিনিদের সন্ত্রাসী বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুবাসের কাছে আল-ফারা ক্যাম্পে বুধবার ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনী ওয়াফাকে জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাদের বাড়িতে গুলি ও শেল নিক্ষেপ করার পর ওই তিনজন নিহত হন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, এই তিন ব্যক্তি “ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী ছিল যারা সন্ত্রাসী উদ্দেশ্যে অস্ত্র বিক্রি করেছিল”। তারা জানিয়েছে, আরও দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
মূলত ইসরায়েল গত এক সপ্তাহ ধরে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। এই আক্রমণে পশ্চিম তীরে শরণার্থী শিবিরে বহু ঘরবাড়ি তারা ভেঙে দিয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোও ধ্বংস করে দিয়েছে।
এছাড়া গত ২১ জানুয়ারি পশ্চিম তীরের জেনিনে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানের কারণে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখল করে নিয়েছিল। তবে গাজার পাশাপাশি পশ্চিম তীরকেও ফিলিস্তিনিরা নিজেদের ভবিষ্যৎ স্বাধীন রাষ্ট্রের মূল অংশ হিসেবে দেখে থাকে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সৈন্য বা বসতি স্থাপনকারীরা অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রায় ৯০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
এমবি//
আরও পড়ুন