ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

শার্শা-বেনাপোলে এক সপ্তাহে কুকুরের কামড়ে আহত অর্ধশত

প্রকাশিত : ১৭:৪১, ২৬ নভেম্বর ২০১৮

যশোরের বেনাপোল ও শার্শায় ব্যাপক হারে বেড়েছে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রপ। প্রতিদিন এসব বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবে আতংকে চলাচল করছে এলাকার সাধারণ মানুষ।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার সাংবাদিক ও শিশুসহ প্রায় অর্ধশত মানুষকে কামড়িয়েছে বেওয়ারিশ পাগলা কুকুর। বর্তমানে এক প্রকার কুকুর আতংকে বিরাজ করছে এই উপজেলার মানুষের মাঝে। কুকুরের কামড়ে আক্রান্তরা হাসপাতালে যেয়ে পাচ্ছেনা প্রতিশোধক ভ্যাকসিন। এর ফলে তাদের মধ্যে বাড়ছে হতাশা। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় পৌর সভা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে শেষ হয়ে গেছে প্রতিশোধক ভ্যাকসিন। অনেক ক্লিনিকেও মিলছে না ভ্যাকসিন। ফার্মেসিগুলোতে মাঝে মধ্যে ভ্যাকসিন পাওয়া গেলেও দাম বেশি। ৮’শ থেকে ৯’শ টাকায় কিনতে হচ্ছে প্রতিশোধক ভ্যাকসিন।

তাছাড়া স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও রাস্তা দিয়ে যেতে ভয় পাচ্ছে। কুকুরগুলো স্কুলে যাওয়া শিশুদের তাড়া করছে প্রতিনিয়ত। কুকুরের ভয়ে অনেকে মা-বাবা ছাড়া স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একই অবস্থা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ দীর্ঘদিন সরকারিভাবে বেওয়ারিশ কুকুর নিধনে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না থাকায় বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে।

বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পের সামনে হোটেল শুভ’র মালিক শাহাজাহান মিয়া জানান, প্রতিদিন তার হোটেলের সামনে ৬/৭টি বেওয়ারিশ কুকুর থাকে। কুকুরের ভয়ে হোটেলে খরিদ্দার আসতে ভয় পায়। শুধু এখানে নয়, গোটা পৌর এলাকা পাগলা কুকুরে ভরে গেছে।

শার্শার আহসান হাবিব বলেন, আমরা রাতে পায়ে হেটে যেতে ভয় পাচ্ছি। এত পরিমাণে কুকুর যে, কোথা থেকে এসে আক্রমণ করবে তা বুঝার উপায় নাই। আমাদের এলাকায় ইতিমধ্যে কয়েকজনকে কামড়ে দিয়েছে। উপজেলায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও এই বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের আক্রমণের কথা শোনা যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন জানান, প্রতি বছর পাগলা কুকুর নিধনের একটি কর্মসূচি আমাদের থাকে। আদালতের নিষেধাজ্ঞায় থাকায় আমরা কিছুই করতে পারছি না। তারপরও বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার অশোক কুমার সাহা জানান, প্রতিদিন কুকুরে কামড়ানো আহত রোগী ভ্যাকসিনের জন্য হাসপাতালে আসছে। জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পাওয়া ৪ শতাধিক প্রতিশোধক ভ্যাকসিন চলতি মাসেই শেষ হয়ে গেছে। চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিনের সরবরাহও  পাওয়া যাচ্ছে না। যে হারে কুকুর ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সে অনুযায়ী সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে আশে-পাশের বিভিন্ন ফার্মেসী থেকে কুকুরে কামড়ানো রোগীরা ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে চিকিৎসা নিচ্ছে।

কেআই/ এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি