ঢাকা, বুধবার   ১৫ মে ২০২৪

শার্শা-বেনাপোলের ২৯ মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৭:৩৬, ৫ অক্টোবর ২০২১

আর মাত্র কয়েকদিন পর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। যশোরের শার্শা-বেনাপোলের ১১টি ইউনিয়ন ও বেনাপোল পৌর এলাকায় এ বছর ২৯টি পূজা মণ্ডপে চলবে দুর্গা বন্দনা। প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে, এখন চলছে রং তুলির কারুকার্য। প্রতিমা শিল্পীরা রং তুলির কাজ নিয়ে পার করছেন ব্যস্ত সময়।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এবার ২৯টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে শার্শা থানায় ২০টি ও বেনাপোল বন্দর থানায় ৯টি মণ্ডপ। প্রতিমা শিল্পীরা তাদের নিপুন হাতের কারুকার্যে ও রং তুলির আঁচরে প্রতিমাগুলিকে সৌন্দর্য বর্ধন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিছু কিছু মণ্ডপে সকল প্রস্তুতি সম্পন্নের পর চলছে মঞ্চ ও অন্যান্য ডেকোরেশনের কাজ।

সকলের সুখ ও মঙ্গল কামনায় মায়ের আগমন ঘটবে এবার। সকল অশুভ শক্তি ও অসুর শক্তির বিনাশ হবে। পৃথিবীর সুন্দর ও শাশ্বত সুন্দরের জয় হবে, এমনটায় আশা করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

প্রতি বছরের মত এবারও প্রতিটি পূজা মণ্ডপে ৫০০ কেজি চালের সমপরিমাণ ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা অনুদান দেবে সরকার। সাথে থাকছে স্থানীয় এমপি শেখ আফিল উদ্দিন ও পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার। পূজা মণ্ডপগুলোতে যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আনসার ও গ্রাম পুলিশের সাথে সাথে পুলিশের তিনটি মোবাইল টিম কাজ করবে বলে জানা গেছে।

এদিকে চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রতিমা শিল্পীরা আগে যে মজুরি পেতেন গত দুই বছর ধরে সে পরিমাণে অর্থ না পাওয়ায় ভালো নেই তারা।

বেনাপোল পাঁচুয়ার বাঁওড় মহাশ্মশান দুর্গা মন্দিরের প্রতিমা শিল্পী সাতক্ষীরার আশাশুনি এলাকার সুশান্তকার সানা বলেন, পূজার আগে এক মাস কাজ করে যে আয় হয় তাদের তা দিয়ে সারা বছর চলতে হয়। করোনার আগে পূজার সময়ে তিনি প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার কাজ করতেন। কিন্তু এবার মাস জুড়ে তার শ্রমের মূল্য ৫০ হাজারও হচ্ছে না।

শার্শা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বৌদ্যনাথ দাস জানান, পূজা উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষে পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে উপজেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে বৈঠক হয়েছে। তারা বলেছেন, মণ্ডপগুলোতে সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেয়া হবে।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম জানান, পূজা চলাকালীন সময়ে মণ্ডপগুলোতে যেন কোন প্রকার আইনশৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। আমরা পূজা উদযাপন কমিটিগুলোর সাথে এনিয়ে মত বিনিময় সভা করেছি।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব চলাকালীন সময়ে শান্তিপূর্ণ পূজা অর্চনার লক্ষে প্রতিটি পূজা মণ্ডপ এলাকায় সকল ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিবছরের মত এবারও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। কেউ যদি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাত করার চেষ্টা করে বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে তাহলে তা আইনানুগভাবে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। 
কেআই//
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি