ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

শিক্ষককে কটুক্তিকারী কর্মচারীর কুশপুত্তলিকা দাহ

হাবিপ্রবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১৯:৫৫, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

হাবিপ্রবিতে শিক্ষককে কটুক্তিকারী কর্মচারীর কুশপুত্তলিকা দাহ

হাবিপ্রবিতে শিক্ষককে কটুক্তিকারী কর্মচারীর কুশপুত্তলিকা দাহ

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) রিজেন্ট বোর্ড-এর সদস্য, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডীন ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানমকে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ ও কটুক্তিকারী গাড়ি চালক জাহাঙ্গীর আলমের বিচার দাবিতে অবস্থান, মানব্বন্ধন ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে সচেতন প্রতিবাদী নারীকন্ঠ। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন অধ্যাপক ড.ফাহিমা খানম।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচী পালন করেন। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা- গাড়ি চালক জাহাঙ্গীর আলমের কালো হাত ভেঙ্গে দাও-গুড়িয়ে দাও, জাহাঙ্গীর আলমের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে, ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, দেশের স্পীকার নারী, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সম্মানিত সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানমকে সামান্য একজন গাড়ি চালক কিভাবে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ করা সাহস পায়। এর পিছনে কারা মদদদাতা রয়েছে তাদেরকে আমরা দেখতে চাই। 

বক্তারা আরও বলেন, ওই কর্মচারী শুধু একজন শিক্ষককেই অপমান করে নাই, পুরো নারী সমাজকে অপমানিত করেছেন। যেখানে বর্তমান সরকার কর্মক্ষেত্রে নারীদের সর্বোচ্চ মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়ে যাচ্ছেন, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় থেকে একজন সিনিয়র নারী শিক্ষককে এভাবে লাঞ্ছিত হতে হবে, আমরা তা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারবো না।

তারা বলেন, আমরা অবাক হয়েছি। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজ করার পরেও ওই কর্মচারী কিভাবে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া করছে। আমরা তাকে আর এই ক্যাম্পাসে দেখতে চাই না। আমরা অতি দ্রুত তার বহিষ্কার চাই। এ রকম কুলাঙ্গার কর্মচারীর ক্যাম্পাসে থাকার কোনও অধিকার নাই। যেখানে একজন সিনিয়র শিক্ষক তার দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েছেন, সেখানে আমরা কিভাবে নিরাপদ থাকতে পারি। আমাদের নিরাপত্তা এবং ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার স্বার্থে তাকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করা এখন সময়ের দাবি। শুধু বহিষ্কারই নয়, তাকে যেন এমন শাস্তি দেয়া হয়, যেন পরবর্তীতে কেউ আর এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়।

মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করেন, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রোজিনা ইয়াসমিন লাকী, সহকারী অধ্যাপক ডা মোছা সোগরা বানু জুলি, প্রভাষক মাহফুজা আক্তার পাপড়ী, নিশাত, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সুরাইয়া জেবিন সেজুতি, শামীমাসহ আরও অনেকে। 

এ মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কয়েক শতাধিক সচেতন নারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি