ঢাকা, শনিবার   ১৯ জুলাই ২০২৫

শোকাবহ পনেরোই আগস্ট আজ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৪, ১৫ আগস্ট ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

শোকাবহ পনেরোই আগস্ট আজ। বাঙালীর হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণের দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে বিপথগামী কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে থমকে দাঁড়ায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। তবে, বাঙালীর মানসপটে শেখ মুজিব আছেন অবিনশ্বর হয়ে; চেতনার দীপ্ত প্রতীক হিসেবে।

বঙ্গবন্ধু, বাঙ্গালীর অহঙ্কার। ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের দুর্দান্ত সংগঠক, পাকিস্তানী সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে দুর্বার সংগ্রামী, ৬ দফার মাধ্যমে বাঙালীর স্বাধিকার অর্জনের কারিগর, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবুর রহমান।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন করে বঙ্গবন্ধু যখন স্বপ্নের মত সাজাচ্ছেন মাতৃভূমিকে, তখন দেশী- বিদেশী চক্রান্তের ক্রীড়নক হিসেবে আঘাত হানে বিপথগামী কিছু সেনা কর্মকর্তা। ভোরের সূর্য উঁকি দেয়ার আগেই, হামলায় প্রাণ হারান হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী।

প্রাণ দেন বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা, শিশু সন্তান রাসেল, দুই ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং দুই পুত্রবধূ, একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের। শাফায়েত জামিলসহ বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা ও দাপ্তরিক কাজে নিয়োজিতরাসহ বাসার প্রায় সবাই প্রাণ হারান নির্বিচার গুলিবর্ষণে। ধানমন্ডীর ৩২ এ বঙ্গবন্ধু ভবনে থেকেও যারা প্রাণে বেঁচেছিলেন তাদের মুখে শোনা যায় হত্যাকারীদের বিভৎসতার কথা। তাদের মধ্যে প্রয়াত মহিতুল ইসলাম ছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী।

আগেই ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাতের মিন্টো রোডের বাসভবনে হামলা করে তাকে ও তার মেয়ে বেবী, ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত, এক আত্মীয় আব্দুল নঈম খান রিন্টু ও তিন অতিথিসহ বাসার সবাইকে হত্যা করে। রাজনীতিতে সক্রিয় বঙ্গবন্ধুর ভাগনে শেখ ফজলুল হক মনির ধানমন্ডীর বাসায় অভিযানে নিহত হন মনি ও তার স্ত্রী শামসুন্নেসা আরজু মনি। বেগম ফজিলাতুন্নেছার স্নেহছায়ায় অনেকের মত বড় হয়েছিলেন শেখ কবির হোসেন। সেদিন রেডিওতে ঘোষণার পর দুটো বাড়ির কাছে গিয়ে হত্যাকারীদের রাজত্ব দেখে ফিরে আসতে বাধ্য হন তিনি।

বঙ্গবন্ধু হত্যার দিনই রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন খোন্দকার মোস্তাক। সেই সরকারের প্রতি আনুগত্য-সহযোগিতায় এগিয়ে আসে বঙ্গবন্ধু সরকারের অনেক সদস্য। শুরু হয় অন্ধকার যুগের। ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করতে করা হয় সভ্যতা বিরোধী আইন। পরের ইতিহাস ক্ষমতা দখল, অভুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থান, হত্যা-ক্যু’র রাজনীতির। পরে অনুসন্ধান আর মার্কিন দলিলের পর্যালোচনা করে জানা-বোঝা যায়, হত্যার দিনক্ষণ কুমিল্লা বার্ডে বসে ঠিক করেছিলো মোশতাক চক্র।

সেসময়ে জার্মানীতে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুর এই দুই কন্যা আজও ধানমন্ডির ৩২-এ, স্মৃতি হাতড়ে বেড়ান মা-বাবা, স্বজনদের।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি