ঢাকা, বুধবার   ০১ মে ২০২৪

সন্ধ্যার পর আসামে যেতে পারে ফণী

প্রকাশিত : ১৭:৫৩, ৪ মে ২০১৯

গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়া ফণী শনিবার সন্ধ্যার পর ভারতের আসামের দিকে চলে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। অধিদফতর বলছে, দক্ষিণাঞ্চলে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যের কারণে রোববারও বৃষ্টিপাত হবে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস শনিবার (৪ এপ্রিল) বেলা ৩টার পর এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর ফনি বাংলাদেশের বাইরে ভারতের আসামের দিকে যাবে। তবে ফনির প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যের কারণে রোববারও সারা দেশে বৃষ্টিপাত হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে দুপুর ১টার পর অধিদফতরের উপপরিচালক আয়েশা খাতুন জানান, ‘অতিপ্রবল ফনি এখন সাধারণ মানের ঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি এখন গভীর নিম্নচাপ আকারে বাংলাদেশে অবস্থান করছে। সেজন্য বিপদ ও হুঁশিয়ারি সংকেতের পরিবর্তে দেশের মোংলা, পায়রা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বিপদ সংকেত নামিয়ে স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেয়ায় সাইক্লোন সেল্টারের ১৬ লাখের ওপর মানুষ বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়াবিদ আয়শা খাতুন বলেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থা জানানো। আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজন এখুণি বাড়ি ফিরে যাবেন কিনা সে সিদ্ধান্ত স্থানীয় প্রশাসন গ্রহণ করবেন। তবে উপকূলীয় জেলাগুলোয় এখনও জলোচ্ছ্বাসের আশংকা আছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, অমাবস্যার কারণে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যতা বিরাজ করছে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে, উপকূলীয় জেলাগুলোয় (চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো) ২ থেকে ৪ ফুট উঁচ্চতায় বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

আয়েশা খাতুন আরও বলেন, আমাদের পূর্বাভাস হচ্ছে, এখনও গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টি হতে পারে ঝড়ো হাওয়াসহ। যার গতিবেগ থাকতে পারে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার।

আবহাওয়া অধিদফতরের শেষ বুলেটিন অনুযায়ী, সাগর এখনও উত্তাল। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দেয়া ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেতের পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সমুদ্রবন্দরে যেসব মাছধরা ট্রলার আছে তাদের এখনও নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ রয়েছে আবহাওয়া অফিসের।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি