ঢাকা, বুধবার   ০১ মে ২০২৪

সরকারের উন্নয়ন মেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৪৩, ৩ অক্টোবর ২০১৮

চলতি মাসের ৪ থেকে ৬ তারিখ আগারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় উন্নয়ন মেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অংশগ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক (ডিজি) জামাল উদ্দীন আহমেদ। 

তিনি বলেন, মেলায় অধিদপ্তরের সেবা মিলবে। মেলা উপলক্ষে প্রতি জেলায় মাদকবিরোধী প্রচারণা চালানো হবে। এছাড়াও ঢাকার স্টলে মাদক নিরাময়ের পরামর্শ, লাইসেন্সের আবেদনের মতো সেবা সেবা দেওয়া হবে। যে কেউ স্টল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য ও সেবা গ্রহণ করতে পারেন।   

বুধবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।

জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে অধিদপ্তর সারাদেশেই অভিযান পরিচালনা করছে। তাৎক্ষণিক বিচারকার্য পরিচালনার জন্য মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পেয়েছে জানিয়ে ডিজি বলেন, দুইজন ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখনো কাজ শুরু না করলেও শীঘ্রই মাঠে নামবেন তারা। তাদের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হবে এবং এটা অধিদফতরের একটা বড় পরিবর্তন।

মাদক নিয়ন্ত্রণে অধিদপ্তরের সাফল্য তুলে ধরে মহাপরিচালক বলেন, অধিদপ্তর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত মোট ৩০ হাজার ৮৯৭ টি অভিযান চালিয়ে ৯ হাজার ৯৩৪ জন মাদকব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ৮৪০৬ টি মামলা দায়ের করেছে। এছাড়াও গত ২০ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পরিচালিত বিশেষ সাঁড়াশি অভিযানে সারাদেশে ৬০৩ জন আসামির বিরুদ্ধে ৫৫৯ টি মামলা দেয় অধিদপ্তর। এসময় ৫৯,৫০৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ বিশেষ অভিযানে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড,আনসার, এনটিভি ও গোয়েন্দা সংস্থার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল এবং সারাদেশে মাদক ব্যবসায়ীদের ঠিকানা ও টার্গেট করে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

নতুন মাদক ‘খাত’ নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, নিও সাইকোট্রফিক সাবকন্সটেন্স (এনপিএস) বা ‘খাত’কে মাদকের তালিকাভুক্ত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। বাংলাদেশে এটি এখনো নিষিদ্ধ না হলেও নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া চলছে।
এই মাদকটি তালিকাভুক্ত হলেই একে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ইতোমধ্যে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। তবে নিষিদ্ধের ঘোষণাপত্র এখনো আমাদের হাতে পৌঁছায়নি। আশা করছি শিগগিরই এটি আমরা পাব।

শেকড় পর্যন্ত আমরা যেতে পারি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদকের গড়ফাদার বা যারা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদের মূলউৎপাটনে আমরা সব সময় কাজ করতে পারছিনা। জনবল সংকটের কারণে একজন আসামিকে রিমান্ডে এনে দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক সময় আমরা শেকড় পর্যন্ত যেতে পারছি না। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে বর্তমানে জেলখানার মোট আসামির ৩৪ শতাংশই মাদক মামলার আসামি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এডিজি সঞ্জয় কুমার চৌধুরী, অপারেশন অফিসার ডিআইজি মাসুম রব্বানি, সহকারী পরিচালক মোঃ খোরশিদ আলম (ঢাকা উত্তর) প্রমুখ।   

এসি  

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি