ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাঈদ খোকসনহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে পিবিআই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:২০, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৬:৩৩, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়ীয়া সুপার মার্কেট-২ এ দোকান বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা আমলে নিয়েছেন আদালত। একই সাথে মামলাটি তদন্ত করতে  পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করা হয়। ওই মামলার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এ বিষয়ে আজ আদেশ দেন আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম আগামী ৩১ জানুয়ারি মধ্যে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।  

এর আগে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে একই আদালতে সাঈদ খোকন ছাড়াও ডিএসসিসি’র সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, নোয়াখালীর কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি করেন মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু।

মামলার শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদালত পরে আদেশ দেবেন জানান বিচারক। তবে বিকেলে আদালত থেকে জানানো হয় যে, বুধবার (আজ) এই মামলার আদেশ দেয়া হবে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২ এর ব্লক-এ, বি, সি মূল বিল্ডিং এর মুল নকশা বহির্ভূত অংশ হিসাবে স্থাপনা তৈরি করে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা প্রদান করেন। ওই ঘোষণার পর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে যোগাযোগ করেন। তখন আসামিরা টাকা জমাদানের ব্যবস্থা করতে বলে। 

আর যাদের নামে দোকান বরাদ্দ আছে তাদের ভুল বুঝিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২ এর মূল নকশা বহির্ভূত এক্সটেনশন ব্লক-এ, বি, সি তে দোকান না নিলে মূল মার্কেটের দোকান মালিকদের দোকানের বরাদ্দ বাতিল করবে এবং তালা লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে এক্সটেনশন ব্লক-এ, বি, সি,তে দোকান বরাদ্দ নেওয়ার জন্য বাধ্য করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, তৎকালীন মেয়রসহ অন্যান্য আসামিরা অর্থ আত্মসাৎ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা বে-নামে বিভিন্ন এ্যাকাউন্টে গ্রহণ করেন। মামলার বাদী কোটি কোটি টাকা লেনদেনে বাঁধা দেওয়ায় আসামিরা তাকে প্রাণহানির চেষ্টা করে। 

এছাড়া বিভিন্ন সময় ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৫৭৫ টাকা সাঈদ খোকনের নির্দেশে ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও জমা দেয়া হয়। আর বাদীর কাছ থেকে মোট ৭৫ লাখ টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে বর্তমান মেয়রের নির্দেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ওইসব স্থাপনা ভেঙে উচ্ছেদ করা হয়। মামলায় বাদীসহ ২৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। 

এআই//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি