ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সাত প্রাসাদে বসবাস করেন রানি এলিজাবেথ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১২, ৭ নভেম্বর ২০১৯

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের পর সবচেয়ে বয়স্ক রাষ্ট্রনেতা হলেন ইংল্যান্ডের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। গত এপ্রিলে ৯৩ বছর পূর্ণ করেছেন তিনি। তবে ৬৭ বছর ধরে রানীর সম্মানীয় পদে আছেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জের থেকে পেয়েছিলেন মুকুট। সেই মুকুটের সঙ্গে ব্রিটিশ রাজপরিবারের যাবতীয় সম্পত্তির সঙ্গে অনেকগুলো প্রাসাদের অধিকারী হন তিনি।

বিভিন্ন সময়ে এই রাজকীয় প্রাসাদগুলোতে সময় কাটান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। রানির এই প্রাসাদগুলো বাইরের চেয়ে অন্দরমহল বেশি চাকচিক্য। এবার রানির প্রাসাদ সম্পর্কে জানা যাক..

বাকিংহাম প্যালেস: প্রায় সাড়ে ৮ লাখ বর্গফুটের এই প্রাসাদে ৭৭৫টি রুম রয়েছে। এর মধ্যে বিলাসবহুল টয়লেট আছে ৮০টি। এ ছাড়া রয়েছে ১৯টি স্টেট রুম, অতিথিদের জন্য ৫২টি রুম, কর্মচারীদের জন্য আলাদা ১৮৮টি রুম এবং ৯২টি অফিস। এছাড়া এই প্রাসাদ সংলগ্ন এলাকায় ৪০ একরের খেলার মাঠও রয়েছে।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বেশির ভাগ সময় এই প্রাসাদে থাকেন। বাকিংহাম প্যালেসে আলাদা নয় রুম বিশিষ্ট একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন রানি। রাষ্ট্রীয় অতিথিদের এই প্যালেসে সাক্ষাৎ দেন রানি। 

উইন্ডসর ক্যাসল: বাকিংহাম প্যালেসের পর রানির সবচেয়ে পছন্দের হলো উইন্ডসর ক্যাসল। এখানে মোট এক হাজার রুম রয়েছে। ৪ লাখ ৮৪ বাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে রয়েছে এই প্রাসাদটি। বিশেষ করে ইস্টারের সময় রানি এই প্রাসাদে কাটান।

বিখ্যাত শিল্পীদের আঁকা দুর্লভ ছবি রয়েছে এই প্রাসাদে। প্রাচীন আমলের বিরল আসবাবপত্রও রয়েছে এখানে। বাকিংহাম প্যালেসের মতো উইন্ডসর ক্যাসলের রক্ষণাবেক্ষণের খরচও বিপুল। 

হোলিরুড হাউস: স্কটল্যান্ডের রাজা চতুর্থ জেমস এই হাসউটি তৈরি করেন। এর পরে ইংল্যান্ডের রাজারানিরা এটি ব্যবহার করে আসছেন। কেননা স্কটল্যান্ডের রানিও দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তাই স্কটল্যান্ডে রানির যাবতীয় সরকারি কাজকর্ম চলে এই প্রাসাদ থেকে। রানি বা রাজপরিবারের কেউই যখন থাকেন না, তখন তাঁদের ব্যক্তিগত থাকার জায়গা এবং আর্ট গ্যালারি খুলে দেওয়া হয় দর্শকদের জন্য। সম্প্রতি প্রায় ৮৬ কোটি টাকা দিয়ে এই প্রাসাদের  মেরামতের কাজ করা হয়েছে।

বালমোরাল ক্যাসল: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের একান্ত ব্যক্তিগত প্রাসাদ এটি। স্কট-বারোনিয়াল স্টাইলের এই বালমোরাল প্রাসাদটি প্রায় ৫০ হাজার একর জমির উপর। প্রাচীন ক্যালিডোনিয়ান স্টাইলে তৈরি এই প্রাসাদটি। এই প্রাসাদ লাগোয়া বেশ কিছু প্রাচীন বাংলোও রয়েছে।

স্যান্ডরিংহ্যাম প্রাসাদ: প্রায় ২০ হাজার একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই প্রাসাদটি। বড়দিন থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রানি এলিজাবেথ থাকেন এই প্রাসাদে। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে আরামদায়ক জায়গা বলা হয় এই প্রাসাদকে। ১৮৭০ সালে পুনর্নির্মাণ করা হয় এটি। তখন ফ্লাশিং টয়লেট, শাওয়ার বাথ, গ্যাস লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয় এই প্রাসাদে।

হিলসবোরো ক্যাসল: উত্তর আয়ারল্যান্ডের লিসবার্নের কাছে এই প্রাসাদে রানি সবচেয়ে কম দিন থেকেছেন। ১৮ শতকের শেষের দিকে এই হিলসবোরো প্রাসাদ তৈরি করেন উইলস হিল। দুই একর জমির উপর তৈরি হয় এই দোতলা প্রাসাদটি। ১৯৮৫ সালে অ্যাংলো-আইরিশ চুক্তিটিও হয় এই হিলসবোরো প্রাসাদে। সর্বসাধারণের জন্য এটি খুলে দেওয়া হয় এপ্রিল, মে, জুন ও সেপ্টেম্বরে।

কেনসিংটন প্যালেস: ১৭০০ শতকের দিকে তৈরি কেনসিংটন প্যালেস। তবে এই রাজপ্রাসাদে এখন রানির কোন কর্মকাণ্ড নেই, এখানে থাকেন কেমব্রিজের ডিউক ও ডাচেস প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান। এখানে ১৯টি রুমের ন্যায় সুইটের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এই প্রাসাদের অর্ধেকটায় বসবাস করেন রাজপরিবারের সদস্যেরা, আর বাকি অর্ধেক জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি