সিনহা হত্যা মামলা: চতুর্থ দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ

চাঞ্চল্যকর মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় চতুর্থ দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করা হয়। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) এ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, আজ সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত রয়েছেন মামলার সাক্ষী সাইফুল আফসার, অলি আহামদ, হামজালাল, মোঃ আলী আকবর ও ছেনুয়ারা বেগম। শুরুতে ছেনুয়ারা বেগমকে নিয়ে চতুর্থ দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন আদালত। চলবে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

এর আগে গত ২৩ আগস্ট কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল-এর আদালতে মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী সাহিদুল ইসলাম সিফাত, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ আমিন, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, হাফেজ শহীদুল ইসলাম, আবদুল হামিদ, ফিরোজ মাহমুদ, মোহাম্মদ শওকত আলী, হাফেজ জহিরুল ইসলাম, ডা. রনধীর দেবনাথ, সেনা সদস্য সার্জেন্ট আইয়ুব আলী, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মোঃ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী ও মোক্তার আহমদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়ার শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরগ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। হত্যার পাঁচদিনের মাথায় (৫ আগস্ট) সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

এ ঘটনায় চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ৮৩ জন সাক্ষীসহ আলোচিত মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেন র‌্যাব-১৫ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। ১৫ জনকে আসামি করে দায়ের করা অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকান্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। চলতি বছরের গত ২৭ জুন সকল আসামির উপস্থিতিতে মামলাটির চার্জ গঠন করা হয়। এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত সাক্ষী রয়েছেন ৮৩ জন।

এনএস//