ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সু না পরায় শতাধিক শিক্ষার্থীকে বের করে দিলেন প্রধান শিক্ষক

মোংলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:১২, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

স্কুল ড্রেসের সঙ্গে মিলিয়ে সু (নির্দিষ্ট জুতা) পরে না আসায় শ্রেণীকক্ষ থেকে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে মোংলার সেন্টপলস বিদ্যালয়ে ঘটেছে এমন ঘটনা।

জানা যায়, এদিন সকাল ৯টায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করলে প্রধান শিক্ষক এড্রজয়ন্ত কোস্তার নির্দেশে শ্রেণি শিক্ষকগণ সব শিক্ষার্থীর ড্রেস ও জুতা চেক করেন। এসময় সবার স্কুল ড্রেস ঠিকঠাক থাকলেও অনেকের পায়েই জুতা ছিলো বিভিন্ন রঙের। এসময় শ্রেণি শিক্ষকরা ড্রেসের সঙ্গে মিল না থাকা শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ ও বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন।

পরে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দেয়া ছাত্র-ছাত্রীরা কেউ কেউ বাড়ী ফিরে গেলেও রাস্তায় ঘুরতে দেখা গেছে অনেককেই। বিষয়টি জানতে পেরে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এ আনোয়ারুল কুদ্দুস ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর শ্রেণিকক্ষে পাঠ শুরুর এক ঘণ্টা পর গেটের বাইরে ঘুরতে থাকা  কয়েকজন শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে নেয়া হলেও বাকিরা মনোকষ্টে বাড়ি চলে যায়।

এ বিষয়ে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী নীরা, নাবিল, রাইসা, চাঁদনী ও হৃদি বলে, “আমাদের অভিভাবকদের সব বিষয়ে স্কুল থেকে শিক্ষকরা ফোন করে বলেন। কিন্তু সু পরে আসার বিষয়টি তো আগে তারা বলেননি। আজ সু পরে আসিনি বলে আমাদের স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে”।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক এড্রজয়ন্ত কোস্তা বলেন, শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়া হয়নি, সু পরে আসার নির্দেশ দিয়েছি। ইউএনও স্যার আসছেন, আপনার সঙ্গে পরে কথা বলছি- বলেই ফোন কেটে দেন তিনি। 

তবে নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শ্রেণি শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক নতুন যোগদান করার পর নিজের ইচ্ছেমতো বিদ্যালয়ের সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। তারা আরও জানান, করোনাকালীন মানবিক সব কিছু তিনি ভুলে গেছেন।

সু পরে না আসা ছাত্রছাত্রীর অভিভাবক নিজাম উদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম বলেন, করোনাকালীন সময়ে সরকার যে নিয়ম করে বিদ্যালয় খুলে দিয়েছে, সেভাবেই তাদের বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষকদের এমন আচরণে শিক্ষার্থীরা কিভাবে বিদ্যালয়ে যাবে, এলোমেলো সিদ্ধান্তে তাদের পড়াশোনার ওপর থেকে মন উঠে যেতে পারে। 

মোংলায় এই একটি স্কুলই অযাচিত সব নিয়ম করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের গ্যাড়াকলে ফেলে দেয় বলেও মন্তব্য করেন তারা।

ইউএনও কমলেশ মজুমদার বলেন, “একটা অভিযোগ শুনে আমি ওই বিদ্যালয়ে যাই। যা বলার প্রধান শিক্ষককে বলে এসেছি। এখন কোনও সমস্যা নাই”।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি