ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪

সুনামগঞ্জে রহস্যজনক আগুন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করল বাপেক্স

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২০:০২, ১৩ আগস্ট ২০২০

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শালমারা গ্রামের একটি হাটিতে গত ২০ দিন ধরে ক্ষণে ক্ষণে আগুন লাগার ঘটনায় ৬ পরিবারের ৩৫ জন সদস্যের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা জানান, বসতঘরে রক্ষিত কাপড়চোপড় বিছানাপত্র ও খড়ের ঘরে বেশ কয়েকবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এই আগুন আতঙ্ক পুরো শালমারা গ্রাম জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন আতঙ্কের শিকার পরিবারের সদস্যরা বলেছেন- যখন তখন তাদের ঘরবাড়িতে আগুন লেগে যায়। 

এদিকে এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, বাপেক্সের ভূ-তত্ব বিভাগের ব্যবস্থাপক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন ও উপ ব্যবস্থাপক মোঃ হামিদুজ্জামান। বিশেষজ্ঞদলের সঙ্গে ছিলেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমীর বিশ্বাস।

এর আগে গত ২৪ জুলাই ওই গ্রামের কানু দে তার খড়ের ঘরে হঠাৎ করে ধোঁয়া উড়তে দেখেন। কিছুক্ষণ পর দেখেন দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে খড়ের ঘরে। তার অল্পক্ষণ পর বসত ঘরের ভেতরে আরেক স্থান দিয়ে আগুন জ্বলতে দেখেন। এর কিছুক্ষণ পর বারান্দায় শুকানোর জন্য মেলে রাখা লুঙ্গিতে আগুন ধরে যায়। 

একইভাবে আগুন লাগে শালমারা গ্রামের কানু দে, চন্ডী চরণ দে, রূপক দে, বাবুল দে ও রানু দের ঘরে। গত ২৪ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ দিন আগুন লাগে। যাতে তাদের বসত ঘরের দু’তলায় কাঠের পালঙ্ক, নিচ তলায় থাকা দুটি আলনা, ঘরের ভেতরে থাকা আলমিরা, লেপ-তোষক, শাড়ি কাপড়, লুঙ্গি, বিছানার চাদর ইত্যাদিতে আগুন লেগে যায়। 

এ বিষয়ে বীরেন্দ্র দে জানান, তার ঘরে দুইবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বাইরে রাখা দুটি খড়ের ভোলায়ও আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আগুণ লাগার ঘটনাগুলো বেশি ঘটেছে বলেও জানান তিনি।
 
আতঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা জানান, আগুন লাগার শুরুতে ধোঁয়া ওঠে, পরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। কখন কোন দিকে আগুন লাগবে তারা কেউ জানেন না। তাইতো আগুন নেভানোর জন্য বালতি, ড্রাম ভর্তি করে পানি রেডি রাখেন।

ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়র্ডের ইউপি সদস্য বিজয় কর বলেন, এরকম আগুন আমরা আগে কখনো দেখিনি। 

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ষ্টেশন ইনচার্জ হিমাংশু রঞ্জন সিংহ বলেন, এভাবে আগুন লাগলে আতঙ্কিত না হওয়ার কোন কারণ নেই। তবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয় এ বিষয়ে তাদের কোন ধারনা নেই। তবে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের আগুন নেভানোর কলাকৌশল বলে দেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এবিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমীর বিশ্বাস বলেন, বাপেক্সের দুই সদস্যের বিশেষজ্ঞদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন। 

বাপেক্স-এর প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেননি। তারা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এ বিষয়ে কোনো কথা তারা বলবেন না।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি