স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়েছে: সাবেক সেনারা
প্রকাশিত : ১৫:১৮, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১৫:২১, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যেকোনও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তারা। আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও পতাকার অবমাননায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়েছে বলেও মনে করেন তারা।
শনিবার রাজধানীর রাওয়া ক্লাবের সামনে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেন তারা।
বক্তব্যে সাবেক সেনা কর্মকর্তারা ভারতীয় আগ্রাসন ও অপপ্রচারের সমালোচনা করেন। তারা বলেন, ৫ আগস্টের পর একের পর এক আগ্রাসী আচরণ করছে ভারতের গণমাধ্যম ও কিছু রাজনীতিক।
ভারতের নানা কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করে তারা বলেন, ভারতের ইদানিং কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। বক্তারা আরও বলেন, আর কোনও নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বাংলাদেশ মেনে নেবে না। রাজনীতি বাদ দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশ নিয়ে যে অপপ্রচার হচ্ছে তা বন্ধ করার আহ্বানও জানান তারা।
সরকারের প্রতি তারা আহ্বান জানান, ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয়, হতে হবে সমতার ভিত্তিতে। এ ছাড়া বিগত সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে করা চুক্তিগুলো প্রকাশের দাবি করা হয়। এরপর একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাবেক সেনা কর্মকর্তারা।
এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল (অব.) আহসান উল্লাহ বলেছেন, আমাদের আজকের আয়োজন ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য। এই দেশ ১২ আউলিয়ার। একই সঙ্গে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মের মানুষ জন্মেছে। সুতারাং এটা অসম্প্রদায়িক দেশ। এই দেশের বিরুদ্ধে কোনও ষড়যন্ত্র মেনে নেব না।
আহসান উল্লাহ বলেন, দেশে এখন আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতি হবে না। এখন নীতি হবে ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে। অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক যেমন হবে ভারতের সঙ্গেও তেমনই হবে। আগের মতো পররাষ্ট্রনীতি এখন আর হবে না।
তিনি বলেন, ভারতের কিছু মিডিয়া ও রাজনৈতিক নেতা বাংলাদেশকে নিয়ে সার্বক্ষণিক বিষোদগার করে চলেছে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী যে কোনো দূতাবাসে হামলা মানে সেই দেশের সার্বভৌম এলাকার ওপরে হামলা। দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে যখন আমাদের সার্বভৌমত্বের উপরে হামলায় হয়, আমাদের পতাকা পদদলিত হয়, তখন আমরা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা চুপ করে থাকতে পারি না।
সমাবেশ সঞ্চালনার সময় সরকারের উদ্দেশে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল লুৎফুল হক বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সকল জাতীয় চুক্তিগুলো তুলে ধরুন। যেসব ভারতীয় বাংলাদেশে আছে, সেগুলো পুনর্বিবেচনা করে প্রয়োজন না থাকলে তাদের ফেরত পাঠানো হোক। যেসব ভারতীয় মিডিয়া সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে দেশে সেগুলো বাতিল করা হোক।
এ সময় একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলটি রাওয়া ক্লাব থেকে বের হয়ে মূল সড়ক দিয়ে জাহাঙ্গীর গেট পার হয়ে বিমানবাহিনীর তথ্য ও নির্বাচনী কেন্দ্রের পাশ থেকে প্রদক্ষিণ করে ফের রাওয়া ক্লাবে আসে।
এএইচ
আরও পড়ুন