ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৩ মে ২০২৫

ভিডিও

‘হারিয়ে যাওয়ার পথে বিশ্বের সর্ববৃহৎ হিমশৈল’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৪৯, ১৮ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১৮:০২, ১৮ জুন ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

অ্যান্টার্কটিকার বরফরাশি থেকে একটি খণ্ড ভেঙে গিয়েছিল ২০০০ সালের মার্চ মাসে। ‘রস আইস শেল্‌ফ’-এর সেই টুকরোর নাম দেওয়া হয় বি-১৫।

মূল হিমশৈল থেকে ভেঙে যাওয়ার পর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ১৮ বছর। এতো বছর অ্যান্টার্কটিকার হিমশীতল পানিতেই ভেসে বেড়িয়েছে বি-১৫। পাড়ি দিয়েছে ১০ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পথ।

কিন্তু নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এবার তার শেষের দিন ঘনিয়ে আসছে। কারণ বি-১৫ এখন এসে পড়েছে অতলান্তিক মহাসাগরের দক্ষিণ দিকে, যেখানে তাপমাত্রা অ্যান্টার্কটিকার তুলনায় অনেকটাই কম। এর ফলে হিমশৈল যে খুব শিগগিরই গলে যাবে, সেই আশঙ্কাই করছেন বিজ্ঞানীরা।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলিমেল.কো’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাত্র এক বছর আগেই বি-১৫ দিকভ্রষ্ট হয়ে অতলান্তিক মহাসাগরের দিশায় ভেসে পড়ে। এবং তারপর থেকেই এই হিমশৈল ভাঙতে শুরু করেছে ছোট ছোট টুকরোয়। নাসার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আর ছোট টুকরো হলে, বোঝা মুশকিল হবে যে সেগুলো বি-১৫-এর অংশ।

এ যাবৎ বি-১৫-এর থেকে ভেঙে পড়া সর্ববৃহৎ টুকরোটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৮ দশমিক ৫২ কিলোমিটারে ও প্রস্থে প্রায় ৯ দশমিক ২৬ কিলোমিটার। তার নাম দেওয়া হয় বি-১৫ জেড।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসেই নাসার ‘আর্থ অবজারভেটরি’ থেকে বি-ফিফটিন জেড-র ছবি নেওয়া হয়। সেখান থেকে বলা হয় যে, এই হিমশৈলর অবস্থান, দক্ষিণ জর্জিয়ার ‘ওয়ার্ম ওয়াটার’ থেকে মাত্র ২৭৭ দশমিক ৮ কিলোমিটার দূরত্বে।

নাসার ভিডিও:

সূত্র: এবেলা

একে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি