ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৩ নভেম্বর ২০২৫

হাসিনা-কামালের রায়ের দিন ধার্য হবে আজ, ট্রাইব্যুনালে নিরাপত্তা জোরদার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪০, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০৮:৪৭, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

জুলাই গণআন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিচারের রায় ঘোষণার দিন ধার্য হবে আজ। একে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ দিন ধার্যের আদেশ দেবেন। 

এদিকে রায়ের দিন ধার্যকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের আশপাশে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও বিজিবি; রয়েছে আর্মড পুলিশের সদস্যরাও।

গত ২৩ অক্টোবর প্রসিকিউশন ও আসামি পক্ষের কৌসুলিদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর মামলার রায় কবে ঘোষণা করা হবে সেই দিন ধার্যের জন্য ১৩ নভেম্বর রাখা হয়। 

ধারণা করা হচ্ছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলার রায় দ্রুত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে জুলাই গণহত্যার প্রথম কোনো রায় শুনবে এ জাতি। 

এই মামলায় শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানিয়েছেন প্রসিকিউশন। অন্যদিকে, তাদের খালাস দিতে আর্জি জানান রাষ্ট্রনিযুক্ত কৌসুলি। তবে অপর আসামি মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের শাস্তির বিষয়ে কোনো আবেদন জানায়নি প্রসিকিউশন।

শেখ হাসিনার এ মামলায় ৮৪ সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৫৪ জন। তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় চলতি বছরের ৩ আগস্ট। প্রথম সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বীভৎসতার চিত্র তুলে ধরেন খোকন চন্দ্র বর্মণ। ৮ অক্টোবর মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরার মাধ্যমে শেষ হয় সাক্ষ্যগ্রহণের ধাপ। এরপর প্রসিকিউশন ও স্টেট ডিফেন্স আইনজীবীর যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয় গত ২৩ অক্টোবর। 

মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে রয়েছে উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চাঁনখারপুলে হত্যা ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। 

আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার ও শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। সাক্ষী করা হয়েছে ৮৪ জনকে। 

গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার রায় ঘিরে কর্মসূচি দিয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ। আগুন-ককটেলসহ বিভিন্ন অপকর্মে দেশজুড়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি