ঢাকা, রবিবার   ১৩ জুলাই ২০২৫

১১ বছরেও হয়নি ভাষা জাদুঘর নির্মাণ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০৯, ২৭ অক্টোবর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

ভাষা শহীদদের স্মরণে স্থাপিত হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। যা ফেব্রুয়রি মাস ছাড়া সারাবছরই অবহেলায় থাকে। শহীদ মিনারের মর্যাদা ও গাম্ভীর্যতা রক্ষায় বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা সমালোচনা হয়। 

এমন প্রেক্ষাপটে ২০১০ সালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও পবিত্রতা সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ রায় দেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে একটি লাইব্রেরিসহ ভাষা জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশনা দেন আদালত।  

একইসঙ্গে রায়ে বলা হয়, ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে ইতিহাস সন্নিবিসিত করে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ব্রুশিয়ার তৈরি করে যাদুঘরে রাখতে হবে। বিষয়টি তদারকিতে আদালত থাকবে বলেও জানান জানানো হয়। ২০১২ সালে একবার আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। ব্যাখ্যাও দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 

কিন্তু ১১ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি হাইকোর্টের সেই রায়। জনস্বার্থে দায়ের করা এ মামলার আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে এক দশকের পরও আদালতের একটি রায় বাস্তবায়ন হয়নি। এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরও দায় আছে। রায় বাস্তবায়ন না হওয়া আদালত অবমাননা।’  

তিনি বলেন, ‘যারা এটি বাস্তবায়ন করছেন না, ইতিমধ্যে তারা আদালত অবমাননা করেছেন। যদি চূড়ান্তভাবে এটি দ্রুত করা না হয়, তাহলে বিবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আবেদন করা হবে।’

রায় বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান জানান, ‘শহীদ মিনারের মাস্টার প্লান তৈরি হচ্ছে। শহীদ মিনারের চতুর্দিকে বিশেষ করে সামনের দিকে উম্মুক্ত প্রান্তর নিয়ে ভাবা হচ্ছে। সাধারণত আমাদের মাস্টার প্লান ১৫ বছরে বাস্তবায়ন হয়।

এআই/এমবি


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি