ঢাকা, মঙ্গলবার   ২১ মে ২০২৪

২০৫০ সালের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক কেড়ে নেবে কোটি প্রাণ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৪১, ১৩ নভেম্বর ২০১৭

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ এক কোটি মানুষের মৃত্যু হবে। একই কারণে বর্তমানে প্রতিবছর সাত লাখ মানুষ মারা যায়।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) ওষুধ সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ওষুধ প্রশাসন আয়োজিত সেমিনারে জানানো হয়, সচেতনতা বৃদ্ধিতে আগামীতে অ্যান্টিবায়োটিকের প্যাকেটের গায়ে ‘ফুল কোর্স শেষ না করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে’ কথাটি লিখে দেওয়ার উদ্যোগও নেবে ওষুধ প্রশাসন।

সেমিনারে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যদি যথাযথ মান নিয়ন্ত্রন করা যায়, তাহলে ১৩ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কমে যাবে।’

অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে আমাদের সচেতনতা নেই বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. সানিয়া তহমিনা।

তিনি বলেন, শিক্ষিত-নিরক্ষর সবার মধ্যেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রবণতা বেশি। তাই সারা দেশের ফার্মেসিগেুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে।

সেমিনার সভাপতিত্ব করেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ অনুযায়ী প্যাকেট সাইজ করা এবং এ বিষয়ে ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ফার্মেসিতে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিষ্ট্রার চালু করতে হবে ও তা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা মনিটরিং করতে হবে।’

এছাড়া ফুল কোর্স অ্যন্টিবায়োটিক সেবনের জন্য সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতর এর প্রতিনিধি ডা. পবিত্র কুমার সাহা বলেন, ‘বড় বড় হ্যাচারিগুলোতে বলা হয়েছে, কোনোভাবেই যেন খাবার ও বাচ্চা উৎপাদনের সময় হরমোন বা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা না হয়।’

সেমিনারে ওষুধ প্রশাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা, আন্তর্জাতিক উদরাময় কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের প্রতিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ১৩ নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ পালন করা হবে।


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি