ঢাকা, মঙ্গলবার   ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

৮ কুকুরছানা হত্যা: নোটিশে সরকারি বাসা ছাড়লেন কর্মকর্তা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:২০, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

পাবনার ঈশ্বরদীতে আট কুকুরছানা হত্যার দায়ে ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়ন ও তার স্ত্রীকে আবাসিক ভবন ছাড়ার নোটিশ দেয় উপজেলা প্রশাসন। নোটিশ পেয়ে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) তারা ভবনটি ছেড়ে দেন।

নোটিশ প্রদান ও বাসা ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান।

তিনি জানান, উপজেলা প্রশাসনের অফিসারদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নকে উপজেলা পরিষদের আবাসিক বাসভবন ছেড়ে দিতে ১ ডিসেম্বর রাতে নোটিশ দেওয়া হয়। সে নোটিশ অনুযায়ী মঙ্গলবার তারা বাসা ছেড়েছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বলেন, ‌“এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ঢাকা থেকে ‘অ্যানিমেল ওয়েল ফেয়ার’ নামে একটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা ঈশ্বরদীর উদ্দশে রওয়ানা দিয়েছেন। তারা এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে এখানে আসছেন বলে আমাদের প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন। তারা ঈশ্বরদীতে এসে ইউএনওর সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারপর তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন।”

এর আগে সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঈশ্বরদীতে আটটি কুকুর ছানাকে বস্তাবন্দি করে উপজেলা পরিষদের পুকুর ফেলে হত্যা করেন উপজেলা পরিষদের আবাসিক ভবনে বসবাসরত ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তার স্ত্রী নিশি বেগম।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সপ্তাহ খানেক আগে ওই কর্মকর্তার বাসার আঙিনায় একটি কুকুর আটটি ছানা জন্ম দেয়। গত সোমবার হঠাৎ মা কুকুরকে পরিষদ চত্বরে ছোটাছুটি ও কান্নারত দেখা যায়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা পুকুর থেকে বস্তাবন্দী মৃত ছানাগুলো তুলে আনলে, মা কুকুর পাশে বসে আর্তনাদ করে। পরে সেগুলো মাটি চাপা দেওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাড়ির কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম জানান, সোমবার সকালে নয়ন স্যার মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। আমি ছানাগুলোর কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি কিছু জানেন না বলেন। তখন তার ছেলে বলে—‘আম্মু ছানাগুলোকে বস্তায় ভরে পুকুরে ফেলে দিয়েছে।’ এরপর আমরা পুকুরে গিয়ে একটি বস্তা ভাসতে দেখি। তুলে খোলার পর আটটি ছানাকেই মৃত অবস্থায় পাই।

মৃত ছানাগুলো দেখে মা কুকুরটি প্রচণ্ড আর্তনাদ করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মীরা কুকুরটিকে চিকিৎসা দেন এবং সেডেটিভ ইনজেকশন প্রয়োগ করেন।

এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান নেটিজেনরা।

এমআর// 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি