ঢাকা, শুক্রবার   ০৪ জুলাই ২০২৫

অনলাইন শিক্ষার প্রসারে সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে যাওয়ার আশা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০৬, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ | আপডেট: ২২:২০, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

Ekushey Television Ltd.

কোভিড -১৯ বৈশ্বিক মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাখাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিজিটাল শিক্ষা, অনলাইন লার্নিং, পাঠদান পদ্ধতির প্রসারে সবার সম্মিলিত চেষ্টায় এগিয়ে যাওয়ার আশাবাদ প্রকাশ করেন হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও ঝ্যাং ঝেংজুন। ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২১’ উপলক্ষে ইউনেস্কো বাংলাদেশ, এটুআই এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত ‘কল ফর ভিডিও ক্লিপস’ শীর্ষক একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। আজ রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ( মাউশি) এর মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক; জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. নিজামুল করিম; দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবির, প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব), এটুআই, আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর হেড অব অফিস ও প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ড. একিউএম শফিউল আজম উপস্থিত ছিলেন। 

প্রতিকূল এই সময়ে আমাদের দেশের শিক্ষকগণ কীভাবে উদ্ভাবনী উপায়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেছেন সে বিষয়গুলো তাঁদের বিভিন্ন ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরেন। প্রতিযোগিতায় জমা পড়া অসংখ্য ভিডিওর মধ্য থেকে ২০ জন শিক্ষককে প্রতিযোগিতায় চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। বিজয়ীদের সবাইকে হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে পুরস্কার হিসেবে ট্যাবলেট প্রদান করা হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও তাঁর মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যে তিনি কোভিড-১৯ চলাকালীন বাংলাদেশের শিক্ষকদের পাঠদানের ক্ষেত্রে যে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এ সমস্যা সমাধানের জন্য কোভিড পরিস্থিতিতে হুয়াওয়ের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা নিয়েও আলোকপাত করেন। 

হুয়াওয়ের সিইও’র মতো একই বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশে ইউনেস্কোর হেড অব অফিস ও প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন বলেন, “অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার, এনজিও এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে সহায়তা প্রদান করতে ইউনেস্কো সবসময় প্রস্তুত। কোভিড পরবর্তী সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করতে শিক্ষকদের মূল ভূমিকা পালন করতে হবে। আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আমরা সারা দেশের ১৬২ জন শিক্ষকের কাছ থেকে ভিডিও ক্লিপ পেয়েছি, যার মধ্য দিয়ে আমরা কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জিং সময়ে দেশের শিক্ষকরা যে উদ্ভাবনী উপায়ে শিক্ষা প্রদান করেছেন সে সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এই উদ্যোগে যোগদান ও বিশ জন বিজয়ীকে ট্যাবলেট প্রদান সহ সার্বিক সহায়তার জন্য আমরা হুয়াওয়ের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। ”

ঝ্যাং ঝেংজুন বলেন, “বৈশ্বিক মহামারি চলাকালীন সময়ে আমাদের শিক্ষাখাত অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছে। ২০২০ সালের মার্চ মাসের শুরু থেকে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়, এর ফলে বাংলাদেশের ১.৪৩ মিলিয়ন শিশুরা দূরশিক্ষণ কার্যক্রমের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।” তিনি আরও বলেন, “বিগত ২২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের আইসিটি পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। বেশ কয়েক মাস থেকে বৈশ্বিক মহামারির এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষাকার্যক্রম চলমান রাখতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও কমিশনসহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতায় পাঠদান পদ্ধতি চলমান রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে হুয়াওয়ে। এ পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের কার্যক্রমগুলোও আগের চেয়ে আরো বিস্তৃত করে আইসিটির সুবিধাগুলোকে আরও বেশি মানুষের কাছে আরও সহজলভ্য করার চেষ্টা করেছি। 

অন্যদিকে বাংলাদেশের তরুণদের মেধা বিকাশে হুয়াওয়ে সিডস ফর দ্য ফিউচার, আইসিটি প্রতিযোগিতা, আইসিটি বাস প্রকল্প, ডিজি-স্কুল প্রোগ্রাম ও আইসিটি একাডেমিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এভাবেই বাংলাদেশের বাংলাদেশের জন্য নিবেদিতভাবে হুয়াওয়ে কাজ করে যাবে।” 

উল্লেখ্য যে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরে প্রযুক্তি সেবা প্রদানের পাশাপাশি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটাতে সিডস ফর দ্য ফিউচার, আইসিটি স্কিলস কম্পিটিশন এর মত প্রতিযোগিতা আয়োজন করে আসছে।
 
আরকে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি