ঢাকা, রবিবার   ০৩ আগস্ট ২০২৫

ইউএনওর সই জালিয়াতি, পদ হারালেন জামায়াত নেতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০২, ২ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১০:১৮, ২ আগস্ট ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা মডেল কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপজেলা জামায়াতের আমির হাছেন আলীর বিরুদ্ধে।

এ অভিযোগের পর বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) তাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এরপর রাতেই তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয় জামায়াতে ইসলামীর লালমনিরহাট জেলা কমিটি।

কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি জানাজানির পর রাতেই জরুরি বৈঠক ডেকে হাছেন আলীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জামায়াতে ইসলামীর লালমনিরহাট জেলা কমিটির আমির আবু তাহের জানান।

বৈঠকে হাছেন আলীকে উপজেলা আমির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে সেক্রেটারি রফিকুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, কলেজটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর অধ্যক্ষ পদ নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। মোট চারজন অধ্যক্ষ দাবিদার থাকার কারণে সরকার ঘোষিত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এ অবস্থায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় কিছু নীতিগত পরিবর্তনের সুযোগে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউএনও শামীম মিঞা চলতি বছরের ১৩ মে হাছেন আলীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন।

তবে নিয়োগ পাওয়ার পর নতুন শিক্ষক-কর্মচারী দেখিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে ১৩টি নিয়োগ ফাইল পাঠান হাছেন আলী। অভিযোগ উঠেছে, এসব ফাইলে ইউএনওর স্ক্যান করা স্বাক্ষর বসিয়ে অনুমোদন নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

হাতীবান্ধার ইউএনও শামীম মিঞা বলেন, ‘আমি ওই নিয়োগ ফাইলে স্বাক্ষর করিনি। আমার অনুমতি ছাড়াই স্বাক্ষর স্ক্যান করে পাঠানো হয়েছে, এটি জালিয়াতি। তাই তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তবে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও হাছেন আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি